নিউজবাংলা ডেস্ক :

বিএনপি থেকে পদত্যাগ করেছেন দলটির ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এম মোর্শেদ খান। মঙ্গলবার রাত পৌনে ১০টায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তার ব্যক্তিগত সহকারী আতাউলের মাধ্যমে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন বলে দলীয় একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।
বিএনপির বর্তমান কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটিতে ভাইস চেয়ারম্যান পদে ছিলেন মোর্শেদ খান। বিএনপি দফতর সূত্র জানায়, মোরশেদ খানের ব্যক্তিগত সহকারী আতাউল সন্ধ্যায় ৭টার সময় দলীয় কার্যালয়ে পদত্যাগপত্র নিয়ে যায়। কিন্তু দফতর প্রধান রুহুল কবীর রিজভী আহমেদ স্কাইপিতে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাথে বৈঠকে ব্যস্ত ছিলেন। তার বৈঠক শেষ হলে রাত ১০টার দিকে পদত্যাগপত্র দেয়া হয়।
সূত্র মতে, পদত্যাগপত্রে মোরশেদ খান লিখেছেন, ‘আজ অনেকটা দুঃখ ও বেদনাক্লান্ত হৃদয়ে আমার এই পত্রের অবতারণা। মানুষের জীবনের কোনো না কোনো সময়ে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতেই হয়, যার প্রভাব সুদূরপ্রসারী। আমার বিবেচনায়, সে ক্ষণটি বর্তমানে উপস্থিত এবং উপযুক্তও বটে।’ তিনি রাজনীতির অঙ্গনে তার দীর্ঘকালের পদচারণা স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের সংগ্রাম এবং দেশের মানুষের কল্যাণে অবদান রাখার কথা উল্লেখ করেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে মোরশেদ খান আরও লিখেছেন, বিএনপি এবং আপনার যোগ্য নেতৃত্বের কাছে কৃতজ্ঞ। তবে বর্তমানে দৃঢ় বিশ্বাস দেশের রাজনীতি এবং দলের অগ্রগতিতে নতুন কিছু সংযোজনের সঙ্গতি নেই। আমার উপলব্ধি সক্রিয় রাজনীতি থেকে অবসর নেওয়ার এখনই উপযুক্ত সময়। বহু বিচার-বিশ্লেষণে বিএনপির রাজনীতি থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। প্রাথমিক সদস্যসহ ভাইস চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করছি। অব্যাহতি দিয়ে বাধিত করবেন।
মোরশেদ খানের ঘনিষ্ঠ এক নেতা জাগো নিউজকে বলেন, মোরশেদ খান আরো আগেই পদত্যাগ করতে চেয়েছিলেন, পরিবারের লোকজনও সেটা চেয়েছিল। কিন্তু সেটা এখন করলো।
তিনি বলেন, নেতৃত্ব, ব্যক্তিত্ব, দর্শনে অনেকের চেয়ে মোরশেদ খান সমৃদ্ধ। কিন্তু দলের পদায়ণে তাকে মূল্যায়ন করা হয়নি। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তাকে মনোনয়ন বঞ্চিত করা হয়েছে। সর্বশেষ দলের পুনর্গঠন প্রক্রিয়ায় স্থানীয় পর্যায়ে (চট্টগ্রামে) তার অনুসারীদের মূল্যায়ন করা হয়নি সেখানে আবু সুফিয়ানকে তার প্রতিদ্বন্দী হিসেবে তৈরি করা হয়েছে। এক প্রকার ক্ষোভেই তিনি পদত্যাগ করলেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here