সাদিয়ার ঘাতক শুভ

নিউজবাংলা রিপোর্ট :
নিখোঁজ হওয়ার দুই দিন পর শিশু সাদিয়ার(৯) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রাজধানী রামপুরার মাদরাসা শিক্ষার্থী সাদিয়ার হত্যাকান্ডে ডিস কর্মচারী শুভ(১৯) ও তার সহযোগী কামালকে(২২) আটক করেছে রামপুরা থানা পুলিশ। সাদিয়া মিফতাহুল জান্নাত মাদরাসার দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী।
নিহতের বাবা রফিকুল ইসলাম হাওলাদার জানান, সাদিয়া ২০ ডিসেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যা ৭ টার দিকে রামপুরা টিভি রোডস্থ ২৪৮/৭ নম্বর বাসা থেকে পার্শ্ববর্তী নানার বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হয়। তাকে খুঁজে না পেয়ে রাতেই এলাকায় মাইকিং করা হয়। সম্ভাব্য কোথাও খুঁজে না পেয়ে পরের দিন শনিবার রামপুরা থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়। রামপুরা থানা রাজধানীর সকল থানায় বার্তা পৌঁছে দেয়। ঘটনায় দুইদিন পর রোববার কেরানীগঞ্জের এক কাশবন থেকে সাদিয়ায় লাশ উদ্ধার করে কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ।
এ ঘটনায় রামপুরা থানা শিশু সাদিয়ার হত্যাকারীকে গ্রেফতারে অভিযানে নামে। রোববার রামপুরা এলাকার কর্মচারী শুভ ও তার সহযোগী কামালকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারা সাদিয়াকে রামপুরা থেকে সিএনজিতে তুলে কেরানীগঞ্জে নিয়ে ধর্ষনের পর শ^াসরোধে হত্যা করে বলে পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি দিয়েছে তারা। পুলিশ সিএনজি চালককে প্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
এ দিকে সাদিয়া হত্যার ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। সন্তান হারিয়ে মা-বাবা পাগলপ্রায়। সাধারণ মানুষ বিক্ষুব্ধ হয়ে রামপুরা সড়কের কাঁচাবাজার এলাকায় মানববন্ধন করে।
নৃশংস হত্যাকান্ডে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে রামপুরা এলাকার বাসিন্দা ব্যাবসায়ী কাশেম আলী জানান, একটি নিষ্পাপ অবোধ শিশুর হত্যাকান্ড মেনে নেয়া যায় না। ঘটনার নিন্দা প্রকাশ করে বলেন, এসব খুনি বখাটেরা নিয়ন্ত্রণের বাইওে চলে গেছে, বখাটেরা রাজনৈতিক প্রশ্রয়ে একের পর এক সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে পার পেয়ে যায়। নিরীহ জনসাধারণ তাদের বাধা দিতে সাহস পায় না। তাই তারা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠে। ভুক্তভোগীরা মামলা করলেও অর্থাভাবে সেটা চালাতে পারে না। বঘাটেরা সংঘবদ্ধ. তারা বিপুল অর্থব্যয়ে আদালত থেকে ছাড়া পেয়ে আসে। অপরাধ কওে পারপেয়ে যায় বলে একের পর এক ঘটে ধর্ষন ও খুণের ঘটনা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here