নিউজবাংলা২৪ ডেস্ক
গত সপ্তাহে মিনিয়াপোলিসে এক পুলিশের হাতে জর্জ ফ্লয়েড নামে এক কৃষ্ণাঙ্গ মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে হওয়া বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্রে ৪০টিরও বেশি শহরে জারি করা কারফিউর মধ্যেও বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছে মানুষ।
ওয়াশিংটন ও নিউ ইয়র্ক শহরে কিছুক্ষণ আগে কার্যকর হয়েছে কারফিউ। তবে কারফিউ শুরু হলেও ওয়াশিংটনে হোয়াইট হাউজের সামনে থেকে অবস্থান ত্যাগ করেনি বিক্ষোভকারীরা। তবে সোমবারের তুলনায় হোয়াইট হাউজের সামনে কম সংখ্যক মানুষ জড়ো হয়েছে।
এছাড়া আগেরদিনের মত বিক্ষোভকারীদের সাথে পুলিশ ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংঘর্ষ এড়াতে হোয়াইট হাউজের সামনে প্রতিরক্ষা বাড়াতে একটি নতুন গেইট তৈরি করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেল জানিয়েছেন রাজধানী ওয়াশিংটনে আরো বেশি আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হবে।
নিউ ইয়র্ক শহরেও দেখা গেছে একই চিত্র। কারফিউ কার্যকর হওয়ার পরও বিক্ষোভকারীরা রাস্তা থেকে সরছেন না। ম্যানহাটান অঞ্চলে আগের রাতে লুটপাট ও ভাঙচুর হওয়ার ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যথাযথ পদক্ষেপ নিতে না পারার অভিযোগ তুলে নিউ ইয়র্ক রাজ্যের গভর্নর অ্যান্ড্রু কুয়োমো শহরের মেয়র বিল ডে ব্লাসিও ও পুলিশের সমালোচনা করেছেন। গভর্নর ইঙ্গিত দিয়েছেন যে শহরে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করতে পারেন তিনি।
ওয়াশিংটনে কারফিউ কার্যকর হওয়ার কিছুক্ষণ আগে হোয়াইট হাউজের কাছে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের দিকে টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়া হয় যেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হেঁটে নিকটবর্তী একটি গির্জায় বাইবেল হাতে ছবি তুলতে যেতে পারেন। আজকেও ওয়াশিংটন ডিসি’র আরেকটি গির্জা সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে তার।
যুক্তরাষ্ট্রে যখন করোনাভাইরাস মহামারি আর কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েড হত্যার প্রতিবাদে হওয়া বিক্ষোভে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বিরাজ করছে, তখন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এ ধরণের পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছেন ধর্মীয় নেতাদের অনেকে। ওয়াশিংটন আর নিউ ইয়র্ক বাদেও যুক্তরাষ্ট্রের অনেক শহরেই বিক্ষোভ কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে মানুষ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here