নিউজবাংলা ডেস্ক :

নারায়ণগঞ্জের তল্লা বায়তুল সালাহ জামে মসজিদে এসি বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ  মুসল্লীদের দেখতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে উপস্থিত হন এবি পার্টির নেতৃবৃন্দ।

এবি পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক প্রফেসর ড. মেজর (অব.) আব্দুল ওহাব মিনার ও আলহাজ্ব এরশাদ হোসেন সাজুর নেতৃত্বে আজ বিকেল সাড়ে তিনটায় এবি পার্টির একটি স্বেচ্ছাসেবক টীম ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে যান। তারা সেখানে অগ্নিদগ্ধ আহতদের চিকিৎসার খোঁজ খবর নেন এবং নিহত ও আহতদের পরিবারবর্গকে শান্ত্বনা দেন।
অন্যান্যদের মধ্যে ছিলেন এবি পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা বিএম নাজমুল হক, সহকারী সদস্য সচিব এবিএম খালিদ হাসান, এএফএম ওবাইদুল্লাহ মামুন, শাহ আব্দুর রহমান ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এডভোকেট আব্দুল্লাহ আল হাসান সাকীব।

মসজিদের এসি বিস্ফোরনে দগ্ধ হয়ে নিহত ২০ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু ও অন্তত ৩০ জনের মারাত্মক আহত হওয়ার ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করে সংবাদ মাধ্যমে  শোক বার্তা পাঠায় এবি পার্টি ।

গতকাল শুক্রবার রাতে এশার নামাজের সময় নারায়ণগঞ্জের তল্লা বায়তুল সালাহ জামে মসজিদে এ বিস্ফোরণ ঘটে। মসজিদে ফরজ নামাজের মোনাজাত শেষে অনেকে সুন্নাত ও অন্য নামাজ পড়ছিলেন। এসময় মসজিদের ভেতরে প্রায় ৪০ জনের মতো মুসল্লি ছিলেন। বিস্ফোরণে তাদের প্রায় প্রায় সবাই দগ্ধ হন।

চিকিৎসাধীন সবাই আশঙ্কাজনক । শুক্রবার  রাতে হাসপাতালে ভর্তির পর শনিবার রাত ১০ টা পর্যন্ত ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।

এবি পার্টির আহ্বায়ক এএফএম সোলায়মান চৌধুরী ও সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মন্জু এক যুক্ত বিবৃতিতে দগ্ধ হওয়া সকল মুসল্লীদের সর্বোচ্চ চিকিৎসার দাবী জানান। তাঁরা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, মসজিদের নীচ দিয়ে যাওয়া গ্যাসলাইন থেকে গ্যাস লিক হয়ে মসজিদের নীচতলার টাইলসের জয়েন্টের ফাঁক দিয়ে বের হতো বলে অনেকে অভিযোগ করেছেন। মুসল্লীরা সিজদায় গেলে গ্যাসের গন্ধ পেতেন। স্থানীয়রা অভিযোগ করলেও কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। নেতৃবৃন্দ এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত, নিহতদের পরিবারকে যথোপযুক্ত ক্ষতিপুরণ ও আহতদের পুনর্বাসনের জোর দাবী জানান।
তাঁরা পুড়ে যাওয়া মসজিদ সহ দেশের অন্যান্য স্থানে এই ধরনের গ্যাস লিক্ বা এসি সংক্রান্ত কোন সমস্যা থাকলে স্থানীয় প্রশাসন কর্তৃক তা দ্রুত সারানোর ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানান।

 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here