নিউজবাংলা ডেস্ক:

মহামারী আবহে মাস্কে মুখ ঢেকেছে বিশ্ববাসী। কার্যত বারোটা বেজেছে ফ্যাশানের। তা বলে কী থেমে থাকবে স্টাইল? সে তো আর হয় না। তাই মাস্ক নিয়েই চলছে বিভিন্ন কারিকুরি। তার স্টাইল, রং, নক্সায় হেরফেরের পাশাপাশি তৈরি হচ্ছে সোনা-রূপার মাস্ক।

এবার আরও এক ধাপ এগিয়ে তৈরি হল হীরেখচিত মাস্ক। ভারতের গুজরাটের এক গয়নার দোকানে ইতোমধ্যে দেড় লাখি এই মাস্ক বিক্রি শুরুও হয়ে গিয়েছে। সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্ম তো অনেকেই শুনেছেন। এবার না হয় হীরের মাস্কে মুখ ঢাকার ঘটনা চাক্ষুস করবে গোটা বিশ্ব।

সোনায় মোড়ানো মাস্কের ছবি তো সোস্যাল মিডিয়ায় ইদোমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে। দিন কয়েক আগে সোনার মাস্ক পরে চমকে দিয়েছিলেন ভারতের পুণের এক বাসিন্দা।

পুণের পিম্পরি চিঞ্চওয়াড় এলাকার বাসিন্দা শঙ্কর কুরাদে ছোট থেকেই সোনার গয়না পরতে ভালবাসেন। তাই বানিয়ে ফেলেছেন সোনার মাস্ক।

শঙ্কর জানান, সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিওতে এক ব্যক্তিকে রুপার মাস্ক পরতে দেখে সোনার মাস্ক পরার খেয়াল চেপেছিল। তার সোনার মাস্কের দাম ছিল ভারতীয় মুদ্রায় ২ লাখ ৮৯ হাজার টাকা। কিন্তু সে তো পুরনো খবর।

এখন স্টাইলে ইন হীরের মাস্ক। পকেটের জোর থাকলে হীরের মাস্কে মুখ ঢেকে অনুষ্ঠান বাড়িতে আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবকে তাক লাগিয়ে দিতেই পারেন।

সুরাটের ওই দোকানের মালিক দীপক চোকসি জানিয়েছেন, দু’রকমের মাস্ক পাওয়া যাচ্ছে। একটিতে আমেরিকান হীরে খোদাই করা। অপরটিতে রয়েছে সাধারণ হীরে। হীরের সঙ্গে থাকছে সোনার ব্যবহারও। দামেও রয়েছে হেরফের। কিন্তু হঠাৎ এরকম খেয়াল চাপল কেন সেই দোকানির?

দোকানের মালিক জানিয়েছেন, সম্প্রতি এক ক্রেতা দোকানে এসে জানান লকডাউন শিথিল হওয়ায় তার বাড়িতে ঘরোয়া অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিবাহ অনুষ্ঠান হবে। বর-কনের জন্য একটু অন্য ধরনের মাস্ক বানিয়ে দেওয়ার কথা বলেছিলেন ওই ক্রেতা।

গয়নার দোকানের মালিকের কথায়, “ওই ক্রেতার কথা আমরা ডিজাইনারকে বলি। তখনই হীরে দিয়ে মাস্ক বানানোর কথা মাথায় আসে। ওই ক্রেতারও এই মাস্ক পছন্দ হয়েছে।”

আমেরিকান ডায়মন্ড খোদাই করা মাস্কের দাম ভারতীয় মূল্যে দেড় লাখ টাকা। আর আসল হীরে খোদাই করা মাস্কের দাম প্রায় ৪ লাখ টাকা।

নির্মাতারা জানিয়েছেন, মাস্কের কাপড়ের ক্ষেত্রে সরকারের গাইডলাইন মেনে চলা হচ্ছে। করোনা আবহে বিয়েবাড়ির জন্য এই মাস্ক যে হু হু করে বিকবে, তা এখনই হলফ করে বলছেন দোকানের মালিক।

তাই ইতোমধ্যে হীরে খচিত একাধিক মাস্ক বানিয়ে ফেলেছেন তিনি। সংবাদ প্রতিদিন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here