নিউজবাংলা ডেস্ক:

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে ৩৪ হাজার ৩৫৭ রানের মালিক। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শতকের শতক আছে শুধু তাঁরই। শচীন টেন্ডুলকারের ব্যাটিংয়ের ভক্ত নয়, এমন কাউকে হয়তো পাওয়া যাবে না। তবে অধিনায়ক টেন্ডুলকারের ভক্ত খুঁজতে গিয়ে বৃথা যেতে পারে চেষ্টাটা। অধিনায়ক টেন্ডুলকার হয়তো সন্তুষ্ট করতে পারেননি কাউকেই। ক্রিকেটের নিয়মিত দর্শক ভারতীয় রাজনীতিবিদ শশী থারুর তো রাখঢাক না রেখেই বলে দিলেন অধিনায়ক হিসেবে মোটেই ভালো ছিলেন না টেন্ডুলকার।

বিজ্ঞাপন

৯০ দশকের ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সের বিচারে লিটল মাস্টারই ছিলেন ভারতীয় দলের অধিনায়কত্বের মূল দাবিদার। কিন্তু দায়িত্ব কাঁধে ওঠার পর তাঁর অধীনে ভারত ভালো কিছু করে দেখাতে পারেনি। পরিসংখ্যানই তার প্রমাণ। ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত ২৫টি টেস্ট ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন টেন্ডুলকার। এর মধ্যে মাত্র ৪টি ম্যাচে জিততে পারে ভারত। আর ৭৩ ওয়ানডে ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়ে জিতেছিলেন ২৩ টিতে। ৯৮ ম্যাচে ২৭ জয় যে অধিনায়ক হিসেবে ভালো কিছুর ইঙ্গিত দেয় না। ২০১৩ সালে অবসর নেওয়ার আগে আইপিএলে মুম্বাই ইন্ডিয়ানসেরও অধিনায়ক ছিলেন টেন্ডুলকার। সেখানেও শিরোপার স্বাদ পাননি। ৫৫ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়ে জয় পেয়েছেন ৩২টিতে।

অধিনায়ক টেন্ডুলকারের সবচেয়ে বাজে মুহূর্ত এসেছিল ১৯৯৯ সালে। সেবার অস্ট্রেলিয়া সফর তাঁর অধীনেই খেলেছিল ভারত। তিন টেস্টেই হেরেছিল দলটি। আর পাকিস্তান-অস্ট্রেলিয়া ও ভারতকে নিয়ে হওয়া ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজের ১৪ ম্যাচে মাত্র ১টি জয় পেয়েছিল তাঁর দল।

রাজনীতিবিদ থারুর অধিনায়ক টেন্ডুলকারের ঘোর সমালোচক। তবে তাঁর আশা ছিল ভিন্ন কিছু হবে, ‘টেন্ডুলকার অধিনায়ক হওয়ার আগে আমি ভেবেছিলাম তিনি হবেন সেরা অধিনায়ক। কারণ অধিনায়ক হওয়ার আগে মাঠে খুবই সক্রিয় ছিলেন। স্লিপে ফিল্ডিং করার সময় অধিনায়কের কাছে দৌড়ে গিয়ে পরামর্শ ও উৎসাহ দিতেন। আমি বলেছিলাম তাঁকে অধিনায়ক বানানো উচিত। কিন্তু যখন অধিনায়কত্ব পেলেন, সেটা কাজে লাগেনি। তাঁর ভারত দল খুব ভালো ছিল না। তবে নিজেও স্বীকার করবেন অধিনায়ক হিসেবে অনুপ্রেরণামূলক ও প্রেরণাদায়ক কিছু করতে পারেননি তিনি।’

ক্যারিয়ারের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অসাধারণ ব্যাটিং করে নিজেকে কিংবদন্তির পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছেন টেন্ডুলকার। অধিনায়কত্বের দায়িত্ব মানে পুরো দলকে নিয়ে ভাবা ও ছক কষা। কিন্তু নিজের ব্যাটিং নিয়ে ভাবতে গিয়ে হয়তো অধিনায়ক হিসেবে ভালো করতে পারেননি টেন্ডুলকার। অন্তত এমনটাই মনে করেন শশী, ‘ব্যর্থতার কারণ হতে পারে তাঁর নিজের ব্যাটিং নিয়ে ভাবা। শেষ পর্যন্ত আনন্দের সঙ্গে অধিনায়কত্বের দায়িত্ব ছেড়েছিলেন। পরে প্রস্তাব দেওয়া হলেও দায়িত্ব নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন।’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here