নিউজবাংলা২৪ ডেস্ক: হেফাজতে ইসলামের আমির ও আল জামেয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসার প্রধান পরিচালক শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফীর অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ১০৩ বছর বয়সী প্রবীণ এই আলেমের সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে জ্ঞান ফিরে আসে। এর আগে রোববার সন্ধ্যা থেকে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন।
চমেক হাসপাতালের আইসিইউ’র সহযোগী অধ্যাপক হারুনুর রশিদ জানান, সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে আল্লামা শফির জ্ঞান ফিরে আসে। জ্ঞান ফেরার তিনি প্রথমে চিকিৎসক, নার্সদের জন্য দোয়া করেন। তাদেরকেও তিনি তার জন্য দোয়া করতে বলেন।
এর আগে আহমদ শফির চিকিৎসার বিষয়ে মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করে চমেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সোমবার দুপুর ১২টায় চমেক হাসপাতালের আইসিইউ বিভাগের প্রধান রঞ্জন কুমার নাথ ও মেডিসিন বিভাগের প্রধান সুজত পালের নেতৃত্বে এই মেডিক্যাল বোর্ড বৈঠকে বসে।
রোববার রাত পৌন ৯টার দিকে আহমদ শফির হঠাৎ শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে তাঁকে হাটহাজারী থেকে এনে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। এসময় তাঁর জ্ঞান ছিল না। রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা ৮৬ এর নিচে নেমে আসে।

আহমদ শফি দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, শ্বাসকষ্ট এবং হজমজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। তাঁকে রাইস টিউব (নাকে নল) দিয়ে শুধু তরল খাবার খাওয়ানো হচ্ছে। তিনি ভালোভাবে কথাবার্তা বলতে পারেন না, হাঁটাচলাও করতে পারেন না।
এর আগে কয়েকবার অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন আহমদ শফি। সর্বশেষ গত ১১ এপ্রিল বিকেলে তাঁর হঠাৎ বমি ও শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় তাঁকে নগরীর প্রবর্তক মোড়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে ১৪ এপ্রিল দুপুরে তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। পুরান ঢাকার আজগর আলী হাসপাতালে তিনি ১২ দিন চিকিৎসাধীন ছিলেন। অবস্থার উন্নতি হলে ২৬ এপ্রিল তাঁকে হেলিকপ্টার যোগে হাটহাজারী মাদ্রাসায় নিয়ে আসা হয়।
১৫ দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর বাসায় ফিরে আহমদ শফি আগের মতো আর স্বাভাবিক চলাফেরা করতে পারেননি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here