নিউজ বাংলা ডেস্ক: জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান সব ধর্মের সম্প্রীতির দেশ হবে বাংলাদেশ- যেখানে ধর্মহীনতা নয়, ধর্মনিরপেক্ষতাই মূল ভিত্তি। স্পিকার বলেন, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সমাজের প্রতিটি মানুষকেই অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে।

স্পিকার শুক্রবার সন্ধ্যায় বনানী মাঠে গুলশান- বনানী সর্বজনীন পূজা ফাউন্ডেশনের দুর্গোৎসব আয়োজনের দ্বাদশ বর্ষপূর্তি ও এবারের শারদোৎসব উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি পূজা উদযাপন পরিষদের প্রকাশিত ‘বোধন’ স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন করেন।

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, শারদীয় দুর্গাপূজা সনাতন ধর্মাবলম্বী মানুষের জন্য আনন্দের এক মিলন মেলা। সব ধর্মই সত্য, সুন্দর ও কল্যাণের কথা বলে।

গুলশান-বনানী সর্বজনীন পূজা উদযাপন ফাউন্ডেশনের সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য, ড. বীরেন শিকদার এমপি, আকবর হোসেন পাঠান এমপি, গুলশান ক্লাবের সভাপতি শওকত আজিজ রাসেল, গুলশান-বনানী সোসাইটির সভাপতি শওকত আলী ভূঁইয়া ডিলন এবং ভারতের ডেপুটি হাইকমিশনার বিশ্বজিৎ দে।

পরে স্পিকার প্রদীপ প্রজ্বালনের মাধ্যমে শারদীয় দুর্গোৎসবের শুভ উদ্বোধন করেন। এর আগে দেশের বিশিষ্ট গুণীজনদের হাতে শারদীয় সম্প্রীতি সম্মাননা ১৪২৬ তুলে দেন স্পিকার। মোট ১২ জনকে দেশে সম্প্রীতিতে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এ সম্মাননা দেওয়া হয়। সম্মাননাপ্রাপ্তদের মধ্যে আছেন- সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত (মরণোত্তর), শিল্পী সুবীর নন্দী (মরণোত্তর), মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার চিত্ত রঞ্জন দত্ত (মরণোত্তর), জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, লেখক-সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির, লেখক শিক্ষাবিদ মুহম্মদ জাফর ইকবাল, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি জিয়াউদ্দিন তারিক আলী, চিকিৎসক ডা. সামন্ত লাল সেন, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দীন ইউসুফ, আইনজীবী ও মানবাধিকার কর্মী সুলতানা কামাল, চিত্রশিল্পী হাশেম খান ও সাংবাদিক আবেদ খান। পরে স্পিকার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here