নিউজ বাংলা ডেস্ক:

কোনো দল আন্দোলনে ব্যর্থ হলে তারা নির্বাচনেও বিজয়ী হতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোটের সব আন্দোলনই ব্যর্থ হয়েছে। আর আন্দোলন যাদের ব্যর্থ হয়, নির্বাচনে তারা জয়ী হতে পারে না।

নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত জোটের ব্যর্থতার কারণ তাদেরকেই খুঁজে বের করতে হবে— এমন মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যারা নমিনেশন নিয়ে ট্রেড (বাণিজ্য) করেছে, অকশন (নিলাম) করেছে, তারা কী করে আশা করে যে নির্বাচনী জয়ী হবে।’

এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, সিলেটে ইনাম আহমেদ চৌধুরীকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি, যে বেশি টাকা দিয়েছে তাকেই নমিনেশন দেওয়া হয়েছে। ইনাম আহমেদ চৌধুরীকে নমিনেশন দিলে তিনি হয়তো জিততে পারতেন। ধামরাইয়ে আতাউর রহমান খানের ছেলে জিয়াউর রহমান খান নমিনেশন পাবে বলেই ধারণা ছিল। তিনি হয়তো জিততেনও কিন্তু তাকে নমিনেশন দেওয়া হয়নি, নারায়ণগঞ্জে তৈমুর আলম খন্দকারকে নমিনেশন দেওয়া হয়নি— এরকম আরও অনেক জায়গায় তারা যে বেশি টাকা দিয়েছে তাকে নমিনেশন দিয়েছে।

এছাড়া ধানের শীষ প্রতীকে জামায়াতে ইসলামী ২৫ জনকে মনোনয়ন দেওয়ার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের জনগণ এখন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী। তারা যুদ্ধাপরাধীদের ভোট দেবে না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য যারাই ক্ষমতায় ছিলেন তাদের সময়ে এ দেশের মানুষের অনেক ভোগান্তি হয়েছে, তারা অনেক কষ্ট পেয়েছে। একমাত্র আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে জাতির পিতার আদর্শ নিয়ে দেশ পরিচালিত হয়।

তিনি বলেন, ‘আজকে আমরা উন্নয়নশীল দেশ হয়েছিল। মাত্র ১০ বছরে আমরা যা পেরেছি, ২৮ বছরেও অন্যরা তা কেন পারেনি? কারণ তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী নয়। যখনই জাতির পিতার হাতে গড়া সংগঠন ক্ষমতায় এসেছে তখনই মানুষের উন্নতি হয়েছে এবং এই উন্নয়ন গ্রামে-গঞ্জে ছড়িয়ে পড়েছে।’

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে ভোট দেওয়ায় এ সময় প্রধানমন্ত্রী দেশের জনগণকে ধন্যবাদ জানান। বিভিন্ন পেশাজীবী ও ব্যবসায়ীরা আওয়ামী লীগকে সমর্থন দিয়ে বিপুল এই বিজয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে বলেও উল্লেখ করে তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতির পিতা বেঁচে থাকলে স্বাধীনতার ১০ বছরেই এই দেশ উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হতো। জাতির পিতা আজ নেই। কিন্তু তার আদর্শ আছে। আমরা তার আদর্শ অনুযায়ী দেশ গড়ে তুলতে চাই।’

নতুন গঠিত মন্ত্রিসভার সদস্য, সংসদ সংসদ, আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here