নিজস্ব প্রতিবেদক:
হামলায় আফরোজা আব্বাসের ৮০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। ঢাকা-৯ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাংসদ সাবের হোসেন চৌধুরীর সমর্থকরা এই হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন আফরোজা আব্বাস। সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে তিনি অবিলম্বে সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি জানিয়েছেন।
এর আগে গত ১২ ডিসেম্বর বাসাবো বৌদ্ধ মন্দির ও মাদারটেক এলাকায় আফরোজা আব্বাসের ওপর দুই দফা হামলা চালানো হয়।
সন্ধ্যায় আফরোজা আব্বাস তাঁর শাজাহানপুরের বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করে জানান, বেলা ১১টায় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে শান্তিপুর স্কুলের সামনে থেকে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করি। ভোটারদের সঙ্গে কুশল বিনিময় ও তাদের মধ্যে নির্বাচনী লিফলেট বিতরণ করতে করতে নবাবী মোড়ে এলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তাদের ওপর হামলা চালায়। ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সাহাবুদ্দিন মজুমদার, সাধারণ সম্পাদক রুবেল, আওয়ামী লীগ নেতা মিলন, খিলগাঁও মডেল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি রাজিব, ২ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি গালিব, ৭৫ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি মনির, ১ নম্বর ওয়ার্ড শ্রমিক লীগের সভাপতি তাজু, সিনিয়র সহসভাপতি জাহিদ (পাগলা কাদিরের ছেলে), সাবেক সভাপতি তাওহীদ, ১ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি শাহিন, খিলগাঁও থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা তানজীল, ১ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক খান রাসেল, খিলগাঁও থানা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক নুর মোহাম্মদ, ২ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মজিবুর রহমান রানা, খিলগাঁও থানা প্রজন্মলীগের সাধারণ সম্পাদক জালাল, ছাত্রলীগ নেতা জনি, যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খোকন, শ্রমিক লীগের পুলিশ বাবুল, শাহজাহানপুরের ইকবাল মিজি, ২ নম্বর ওয়ার্ডের যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুলের শ্যালক হৃদয় প্রমুখ লাঠি, লোহার, রড, চাপাতিসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়।
এ সময় খিলগাঁও থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জালাল উদ্দিন জামান ও খিলগাঁও থানা যুবদলের সভাপতি আবুল হাসনাত অনুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আহতদের বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলে জানান আফরোজা আব্বাস।
আফরোজা আব্বাস বলেন, ‘আমি নির্বাচনী প্রচারণা কার্যক্রম চালাতে গেলেই বারবার হামলার শিকার হচ্ছি। আমাকে টার্গেট করে আক্রমণ করা হচ্ছে। আমার নেতাকর্মী ও সমর্থকরা আহত হচ্ছেন, মারধর খাচ্ছেন, আবার পুলিশ তাদের বিরুদ্ধেই মামলা করছে।’
বিএনপির প্রার্থী আফরোজা আব্বাস বলেন, ‘সাবের হোসেন চৌধুরী উনি কি প্রমাণ দিতে পারবেন? আমি প্রমাণ দেব। আমার কাছে প্রমাণ আছে। আপনাদের সাংবাদিকদের ভাইদের সিডিতে আছে। আমার ব্যক্তিগত সিডিতে আছে যে ওরা কিভাবে হামলা চালিয়েছে। প্রতিটা মুহূর্ত সিডিতে আছে। উনি তো প্রমাণ দিতে পারবেন না। কারণ প্রতিটা মুহূর্ত উনি হামলা করছেন। আর উল্টা আমাদের নামে মামলা দিচ্ছেন।
এই নির্বাচনে কোনোভাবে অংশগ্রহণ করার মতো অবস্থা ওরা তৈরি করতে পারেনি। আমরা অবিলম্বে সেনাবাহিনী চাই। কারণ আমরা মনে করছি একমাত্র সেনাবাহিনীই পারে এ দেশকে জাতিকে রক্ষা করতে এবং গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে এবং সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে।’