নিউজ বাংলা ডেস্ক :

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার প্রতিবাদে পঞ্চম দিনের মতো আন্দোলন করছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা।

শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে শিক্ষার্থীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন। বুয়েটের শহীদ মিনারের প্রাঙ্গণ দিয়ে মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গা প্রদক্ষিণ করে। এরপর তারা আবার এসে শহীদ মিনারের সামনে অবস্থান নেন। এ সময় তারা দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করে একটি সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলন শেষে আবার বিক্ষোভ মিছিল দিতে শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।

বিক্ষোভ মিছিলে তিনটি দাবির ওপর জোর দিয়ে স্লোগান দিতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের। সেগুলো হলো- আবরার ফাহাদ হত্যাকারীদের ছাত্রত্ব বাতিল, তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি নিশ্চিত করা এবং বুয়েটকে সন্ত্রাসমুক্ত করা।

মিছিলের বিভিন্ন পর্যায়ে আন্দোলনকারীরা ‘ফাঁসি ফাঁসি’ বলে স্লোগান ও করতালি দেন।

তাদের দেয়া স্লোগানগুলোর মধ্যে রয়েছে- ‘ফাঁসি ফাঁসি ফাঁসি চাই, খুনিদের ফাঁসি চাই’/ ‘ফাঁসি ছাড়া যাব না, যাব না যাব না’/ ‘খুনিদের ঠিকানা, এই বুয়েটে হবে না’/ ‘সন্ত্রাসীদের ঠিকানা, এই বুয়েটে হবে না’/ ‘শিক্ষা সন্ত্রাস, এক সাথে চলে না’/ ‘বহিষ্কার বহিষ্কার, খুনিদের বহিষ্কার’/ ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে’/ ‘প্রশাসন নিরব কেন, জবাব চাই দিতে হবে’।
উল্লেখ্য, রোববার (৬ অক্টোবর) দিবাগত মধ্যরাতে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে শেরে বাংলা হলের দ্বিতীয় তলা থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যান সাধারণ ছাত্র ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সোমবার (৭ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সূত্র জানায়, বুয়েটের শেরেবাংলা হলের শিক্ষার্থী, সিসিটিভি ফুটেজ ও আটকদের জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে হত্যাকাণ্ডে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত কয়েকজনের নাম উঠে এসেছে।

হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ১৯ জনকে আসামি করে গত সোমবার সন্ধ্যার পর চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা করেন আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ্। এ ঘটনায় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ মোট ১৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here