নিউজ বাংলা ডেস্ক: রাজশাহীসহ দেশের বড় বড় আম বাগানগুলোতে আগামী ৭ দিনের মধ্যে পুলিশ মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আসন্ন গ্রীষ্ম মৌসুমকে কেন্দ্র করে আমের বাগানে ক্ষতিকর কেমিক্যালের প্রয়োগ রোধে এ্ই নির্দেশ। আদালতের এই নির্দেশ রাজশাহীর বিভাগীয় কমিশনার ও পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজিকে বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। গতকাল হাইকোর্টের বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ সাইফুল আলম। একইসঙ্গে আদালতের আদেশে ফলের বাজারে ও গুদামে রাসায়নিকের ব্যবহার বন্ধে একটি পর্যবেক্ষণ টিম গঠন করতে বলা হয়েছে। এ আদেশ বাস্তবায়ন করে এক মাসের মধ্যে পুলিশের আইজি, বিএসটিআই, র্যাবের মহাপরিচালককে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। এ সময় আদালত বলেন, এই কেমিক্যাল ব্যবহারের কারণে মানুষের শরীরে নানা রোগব্যাধির সৃষ্টি হচ্ছে। আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, আইজিপি, র্যাবের মহাপরিচালক, বিএসটিআইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে(কেমিক্যাল টেস্টিং উইং) দেশের বড় বড় ফলের বাজার ও আড়তগুলো মনিটরিংয়ে টিম গঠনের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
আর পুলিশ মোতায়েনের নির্দেশনাটি দেয়া হয়েছে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ও পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজিকে। তাছাড়া রাজশাহী অঞ্চলসহ দেশের যেসব জেলায় বড় আম বাগান রয়েছে, সেখানে পুলিশের পাশাপাশি জেলা প্রশাসনকে মনিটরিং টিমে যুক্ত হওয়ার নির্দেশনাও রয়েছে এ সংক্রান্ত ২০১২ সালের রায়ে। উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে মনজিল মোরসেদের করা এক রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট এ রায় দেন। রায়ে সাত দফা নির্দেশনা দেয়া হয়। সেখানে আমের মৌসুমে রাসায়নিক ব্যবহার বন্ধ এবং একটি পর্যবেক্ষণ টিম গঠন করতে বলা হয়। যার ধারাবাহিকতায় নতুন করে আমের মৌসুম আসায় আইনজীবী হাইকোর্টে এক সম্পূরক আবেদন দিয়ে আদেশ চান।