নিউজবাংলা ডেস্ক:
সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে গৃহবধূকে গণধর্ষণের মামলায় গ্রেফতার তিন আসামির পক্ষে আদালতে দাঁড়াননি কোনো আইনজীবী।
সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে দুইজন ও বিকেলে এক আসামিকে সিলেট মহানগর হাকিম দ্বিতীয় আদালতে হাজির করে সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে আদালতের বিচারক মো. সাইফুর রহমান তাদের পাঁচদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আসামিরা হলেন- ছাত্রলীগ কর্মী সাইফুর রহমান, অর্জুন লস্কর ও এমসি কলেজ শাখা মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সভাপতি রবিউল হাসান।
আদালতের এপিপি অ্যাডভোকেট খোকন কুমার দত্ত জানান, আদালতে জামিন শুনানিতে আসামিদের পক্ষে কোনো আইনজীবী অংশ নেননি।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (গণমাধ্যম) জোর্তিময় সরকার বলেন, গণর্ধষণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ রিমান্ডে নিয়েছে।
গ্রেফতার অপর তিনজনের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওদের ব্যাপারে আমি কিছু বলতে পারব না। ওদেরকে আমরা এখনও পাইনি। যারা তাদের ধরেছেন তাদের কাছে এখনও রয়েছে। আমাদের কাছে এলে আমরা তাদের আদালতে হাজির করে আইনি পদক্ষেপ নিব।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাতে স্বামীর সঙ্গে এমসি কলেজে বেড়াতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হন এক গৃহবধূ। রাত সাড়ে ৮টার দিকে স্বামীর কাছ থেকে জোর করে তুলে নিয়ে ওই গৃহবধূকে ছাত্রাবাসে নিয়ে ধর্ষণ করে ছাত্রলীগের কর্মীরা। এ সময় কলেজের সামনে তার স্বামীকে আটকে রাখে দুজন।
এ ঘটনায় নির্যাতনের শিকার ওই গৃহবধূর স্বামীর দায়ের করা মামলায় আসামিরা হলেন- সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার উমেদনগরের রফিকুল ইসলামের ছেলে তারেকুল ইসলাম তারেক (২৮), হবিগঞ্জ সদরের বাগুনীপাড়ার শাহ মো. জাহাঙ্গীর মিয়ার ছেলে শাহ মো. মাহবুবুর রহমান রনি (২৫), জকিগঞ্জের আটগ্রামের কানু লস্করের ছেলে অর্জুন লস্কর (২৫), দিরাই উপজেলার বড়নগদীপুর (জগদল) গ্রামের রবিউল হাসান (২৫) ও কানাইঘাটের গাছবাড়ি গ্রামের মাহফুজুর রহমান মাসুম (২৫)। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও তিনজনকে আসামি করা হয়।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত এজাহারভুক্ত চার আসামিসহ ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। এখনও পলাতক রয়েছেন মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মাহফুজুর রহমান মাসুম (২৫) ও তারেকুল ইসলাম তারেক (২৮)। তাদের গ্রেফতারে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক দল মাঠে কাজ করছে।