নিউজ বাংলা ডেস্ক :
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের (ইফা) মহাপরিচালক সামীম মোহাম্মদ আফজালের সঙ্গে কাজ না করার ঘোষণা দিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
মঙ্গলবার আগারগাঁওয়ের ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়ে অবস্থান কর্মসূচি থেকে তাঁরা এই ঘোষণা দেন। দেখা যায়, ফাউন্ডেশনের কয়েক’শ কর্মকর্তা-কর্মচারী সকাল ৯টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত কার্যালয়ের নিচতলায় অবস্থান করেন।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এমন পরিস্থিতি নিয়ে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আবদুল্লাহ সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, এই পরিস্থিতিতে ইফার মহাপরিচালক সামীম মোহাম্মদ আফজালের পদত্যাগ করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক আজ অফিসে আসেননি। ইফা মহাপরিচালক সামীম মোহাম্মদ ফ্যাক্সের মাধ্যমে তাঁর কার্যালয়ে চিঠি পাঠান। চিঠিতে তিনি বলেন, শারীরিক অসুস্থতার কারণে মঙ্গলবার থেকে ( ১৮ জুন থেকে ২০ জুন) তিন দিন কর্মস্থলে উপস্থিত থাকবেন না। তাঁর অনুপস্থিতিতে ইফা সচিব কাজী নুরুল ইসলাম নিজ দায়িত্বের অতিরিক্ত হিসেবে মহাপরিচালকের দায়িত্বপালন করবেন।
দোকান বড় করতে আট মাস আগে এক রাতে বায়তুল মোকাররম মসজিদের নিচতলার একটি পিলার ভেঙে ফেলা হয় । এতে জাতীয় মসজিদের মূল ভবন ঝুঁকিতে পড়ে বলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের (ইফা) একাধিক তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়। কিন্তু এ জন্য দায়ী দোকানমালিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। উল্টো একটি তদন্ত কমিটির প্রধান মসজিদ ও মার্কেট বিভাগের পরিচালককে বরখাস্ত করে বিতর্কে পড়েছেন ইফার মহাপরিচালক।
এই অবস্থায় মহাপরিচালক সামীম মোহাম্মদ আফজালকে কেন বরখাস্ত করা হবে না, তা জানতে চেয়ে তাঁকে নোটিশ পাঠিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। এতে সামীম আফজালের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগের কথা উল্লেখ করে তাঁর চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে কেন অবহিত করা হবে না, তার কারণ দর্শাতেও বলা হয়েছে।
৯ জুন এই নোটিশ পাঠানো হয়। তাতে বলা হয়, ইফার মহাপরিচালক বায়তুল মোকাররম মসজিদ ও মার্কেট বিভাগের পরিচালককে বরখাস্তের যে আদেশ দিয়েছেন, তা অবৈধ ও ক্ষমতাবহির্ভূত।
সামীম মোহাম্মদ আফজাল প্রথম আলোকে বলেন, শিগগিরই তিনি নোটিশের জবাব দেবেন। তাঁর দাবি, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের চাকরি বিধিমালা অনুযায়ী অধস্তন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে সাময়িক ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষমতা তাঁর এখতিয়ারের মধ্যে আছে।