ঢাকা: ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচনে যাওয়া না যাওয়া নির্ভর করছে নির্বাচনকালীন সরকার এবং নির্বাচন কমিশনের ওপর। এমন মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন তিন সপ্তাহ পেছানোর বিষয়টি বিবেচনা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
বুধবার সন্ধ্যায়, কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে এসব কথা জানান তিনি।
এ সময় তিনি আরও জানান, বৈঠকে বিএনপি’র সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। এ সময় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার না করার দাবি জানিয়েছে ঐক্যফ্রন্ট’
এর আগে, বুধবার বিকেল তিনটায় নির্বাচন তিন সপ্তাহ পেছানোর দাবিতে নির্বাচন কমিশনে যায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ১৪ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।
প্রায় দুই ঘণ্টার বৈঠক শেষে, মির্জা ফখরুল জানান, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা তাদেরকে বলেছেন, নির্বাচন পেছানোর ব্যাপারে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
এর আগে মঙ্গলবার মতিঝিলে ড. কামাল হোসেনের চেম্বারে জরুরি বৈঠকে বসেন নেতারা। বৈঠকে নির্বাচনের তারিখ পেছানোর দাবি ছাড়াও আসন ও জোটের প্রতীক নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠক শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছিলেন, নির্বাচন এক মাস পেছানোর দাবিতে বুধবার বেলা ১২টায় আবারও নির্বাচন কমিশনে যাবে ঐক্যফ্রন্ট। তিনি জানান, ১৬ই নভেম্বর প্রিন্ট এবং পরে ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সম্পাদকদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন ড. কামাল হোসেন।
১৪ সদস্যের প্রতিনিধিদলে ছিলেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আ স ম আবদুর রব, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী, মোস্তাফা মোহসীন মন্টু, মাহমুদুর রহমান মান্না, সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ, অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, মোকাব্বির খান, এস এম আকরাম, আবদুল মালেক রতন।