ঢাকা: বাংলাদেশে যে উন্নয়নের ধারা বইছে তা চালিয়ে নিতে সবাইকে এক হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই সঙ্গে এই ধারায় সবার সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
মঙ্গলবার দুপুরে গণভবনে ইসলামী দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে বসে সূচনা বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সবার মতামত নিয়ে গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত রাখতে পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। ধর্মীয় শিক্ষাব্যবস্থাসহ সার্বিক উন্নয়নে সরকারের টানা দুই মেয়াদের কর্মকাণ্ড তুলে ধরে তিনি বলেন, জনগণের আর্থসামাজিক উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি। কওমি মাদ্রাসার শিক্ষাকে স্বীকৃতি দেয়ার মতো নানা ধরনের উদ্যোগ নিয়েছি ইসলাম প্রতিষ্ঠায়। মাদক এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে যা অব্যাহত থাকবে।
সংলাপ শেষে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, সংলাপে একটা বিষয়ে সকলে একমত হয়েছে, সেটা হচ্ছে- মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ ও স্বাধীনতার আদর্শের ব্যাপারে প্রত্যেকে অভিন্ন অভিমত ব্যক্ত করেছেন। এছাড়া প্রত্যকে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গত ১০ বছর ধরে দেশ পরিচালিত ভূয়সী প্রশংসা করছেন এবং আগামী দিনেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আনতে সার্বিক সহযোগিতা করবে বলে ইসলামী দলগুলোর নেতারা জানিয়েছেন।
ওবায়দুল কাদের জানান, প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক হয়েছে। প্রত্যেক দলের নেতারা নিজ নিজ কথা এবং কিছু দাবি উপস্থাপন করেছে। সংলাপে ইসলামী ১২টি দলের ৫২ জন প্রতিনিধি অংশ নেন। বৈঠকে দ্বিমত বলতে কিছু ছিল না বলেও দাবি করেন তিনি।
এর আগে গণভবনে ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, জোটের বিষয়ে আমাদের দফায় দফায় বসতে হবে। এখন আমাদের অন্যত্র ব্যস্ত থাকার কোনো সুযোগ নেই। সংলাপ যখন শেষ হবে তখন প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকদের সামনে একটা স্পিচ দেবেন। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শেষে ৮ নভেম্বর দুপুর সাড়ে ১২টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবনে সংবাদ সম্মেলন করবেন বলেও জানান তিনি।
এদিকে সংলাপ শেষে জাকের পার্টির চেয়ারম্যান পীরজাদা মোস্তফা আমীর ফয়সল মুজাদ্দেদী বলেন, আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। আমরা চলমান ধারাকে শক্তিশালী করতে চাই। আমরা আশা করি, দেশের বৃহত্তর স্বার্থে সরকার একটি সুন্দর সাবলীল এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দান করবেন। এ বিষয়ে সরকারের প্রতি আমাদের বিশ্বাস আছে।
তিনি বলেন, আমরা চাই- গণতন্ত্রের ভিত্তি মজবুত করতে। একটি সুন্দর নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আগামী দিনে সুন্দর সংসদ যাতে চলমান থাকতে পারে এবং দেশের চলমান উন্নয়ন গতিশীলতা পায়, সে লক্ষে আমরা অঙ্গীকার করেছি।
দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, আসুন আমরা শান্তির পথ অনুসরণ করি। আরেকটি রক্তাক্ত বাংলাদেশ আমরা দেখতে চাই না। আমরা চাই, শান্তি, সৌহার্দ্য।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সংলাপ অংশ নেওয়া ইসলামী দলগুলো হলো- ইসলামী ঐক্যজোট (আইওজে), বাংলাদেশ মুসলিম লীগ, বাংলাদেশ জালালী পার্টি, আশিক্কীনে আউলিয়া ঐক্য পরিষদ বাংলাদেশ, জাকের পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয় ইসলামী জোট-বি.এন.আই.এ, বাংলাদেশ সম্মিলিত ইসলামী জোট, ইসলামিক ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স (আইডিএ)।