নিউজ বাংলা২৪ ডেস্ক:
এবি পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেছেন, সরকার একটার পর একটা রেকর্ড সৃষ্টি করে চলেছে। এবার নির্বাচনে বিজয়ী প্রার্থীর জামানত হারানোর রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। আমরা আমাদের ভোটের আনন্দ থেকে বঞ্চিত। আমাদের আন্দোলনের প্রথম দাবি আমার ভোটাধিকার ফেরত চাই।
তিনি বলেন, এবি পার্টি একটি স্বয়ংক্রিয় রাজনৈতিক দল। সরকারি বেসরকারি ও আন্তর্জাতিক গোয়েন্দা সংস্থা দলের ওপর নজরদারী করছে। ইনশাল্লাহ তারা কোনো গন্ধ খুঁজে পাবেন না। আমরা চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলতে চাই এবি পার্টি কারো পারপাজ সার্ভ করার জন্য সৃষ্টি হয়নি।
তিনি শনিবার রাজধানীর ডিআরইউ মিলনায়তনে দলের এক সংবর্ধণা সভায় এসব কথা বলেন। এবি পার্টির যুগ্ম–আহবায়ক অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম ও মজিবুর রহমান মঞ্জুর সাম্প্রতিক যুক্তরাষ্ট্র ও তুরস্ক সফরের পর এই সংবর্ধনা সভা আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন দলের আহবায়ক এ এফএম সোলায়মান চৌধুরী।
তরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের সঙ্গে সাক্ষাতসহ সফরের বর্ননা দিতে গিয়ে মজিবুর রহমান বলেন, এই সফর ছিল দলের জন্য শ্রেষ্ঠতম অর্জন। তিনি বলেন, এবি পার্টি নিয়ে অনেক আলোচনা হচ্ছে। কেউ দল থেকে চলে গেলে মিডিয়া সেটিকে ফলাও করে প্রচার করে। সংগ্রাম আন্দোলন চড়াই উৎড়াই ও ভাঙ্গা গড়ার মধ্যদিয়ে এবি পার্টি শীঘ্রই একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে। তিনি বিদেশ সফর করে এক দৃঢ় আত্মবিশ্বাস নিয়ে ফিরেছেন বলে উল্লেখ করেন।
দলের যুগ্ম–আহবায়ক ও সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী তাজুল ইসলাম বলেন, সরকার মানুষের মৌলিক অধিকার হরণ করেছে। এখানে বাক স্বাধীনতা নেই, ভোটের অধিকার নেই,বেঁচে থাকার অধিকার নেই। মানুষ অধিকার বঞ্চিত হয়ে নির্যাতিত নিষ্পেষিত হচ্ছে। এবি পার্টির জন্ম হয়েছে মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য। একটি স্বচ্ছ রাজনৈতিক দল উপহার দেওয়া এবি পার্টির চ্যালেঞ্জ। তিনি বলেন, দেশে আইনের শাসন নেই। দুর্নীতি আর লুটপাটতন্ত্র কায়ম হয়েছে। হাজার হাজার কোটি ট্কাার অর্থ পাচার হচ্ছে। তিনি দেশ রক্ষায় নেতাকর্মীদের সোচ্চার ভ‚মিকা পালনের আহবান জানান।
ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন মেজর( অব) আবদুল ওয়াহাব মিনার, আনোয়ার সাদাত টটুল, বি এম নাজমুল হক, এবিএম খালিদ হাসান, আমিনুল ইসলাম, আমজাদ খান, নারী নেত্রী বেবি পাঠান ও নাসরীন সুলতানা মিলি প্রমুখ।