নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

৩০শে নভেম্বরের মধ্যে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করা না হলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দিয়েছে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মাচারী জাতীয়করণ প্রত্যাশী মহাজোট।

আজ শুক্রবার (১০ই সেপ্টেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তারা এ হুঁশিয়ারি দেন।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, ‘আমরা বারবার আন্দোলন করেও সরকারের কাছ থেকে জাতীয়কণের দাবি আদায় করতে পারিনি। বর্তমানে শিক্ষক-কর্মচারীদের বদলি নেই, প্রমোশন নেই। বিনোদন ভাতা নেই, অন্যান্য সুযোগ সুবিধাও নেই। বরং শিক্ষক কর্মচারীদের ওপর আছে ম্যানেজিং কমিটির অযাচিত অত্যাচার। বর্তমানে এনটিআরসিএ শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ করলেও ম্যানেজিং কমিটি প্রধান ও সহকারী প্রধান শিক্ষক এবং কর্মচারী নিয়োগ করেন। এক্ষেত্রে নিয়োগের অস্বচ্ছতা ও ক্ষেত্র বিশেষে দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া যায়।’

তারা বলেন, ‘অবিলম্বে এই কমিটি প্রথা বাতিল করে সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মতো এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতে হবে।’

১৯৮০ সালে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীগণ সরকারের নিকট থেকে প্রথমে জাতীয় বেতন স্কেলের আওতায় ৫০% প্রারম্ভিক বেতন প্রাপ্তির সুযোগ অর্জন করেন। শুরু থেকে এ পর্যন্ত শিক্ষক-কর্মচারীগণ বিভিন্ন সরকারের আমলে আন্দোলন-সংগ্রামের প্রেক্ষিতেই বর্তমানে শতভাগ বেতনসহ বার্ষিক ৫% প্রবৃদ্ধি, ২০% বৈশাখীভাতা, ১০০০ টাকা বাড়িভাতা, ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা। কর্মচারীগণ ৫০% বোনাস এবং শিক্ষকগণ ২৫% বোনাস ও নির্ধারিত হারে অবসর ও কল্যাণ ভাতা পাচ্ছেন। তবে অবসর-কল্যাণ ভাতা শিক্ষক-কর্মচারীগণ চাকুরি থেকে অবসরের ৩-৪ বছরের আগে পান না এবং এ সময়ে অনেক শিক্ষক-কর্মচারী মৃত্যুবরণ করেন।
বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী ফোরামের যুগ্ম মহাসচিব মতিউর রহমান দুলালের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারী জাতীয়করণ প্রত্যাশী মহাজোটের আহবায়ক ও বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী ফোরামের সভাপতি অধ্যক্ষ মো. মাঈন উদ্দিন, জোটের সমন্বয়ক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম ও সদস্য সচিব জসিম উদ্দিন আহম্মদ বক্তব্য দেন।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের লক্ষ্যে প্রায় ৩০টি সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত মহাজোটের নেতারা সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here