নিউজবাংলা ডেস্ক:

এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা কবে অনুষ্ঠিত হবে এ সংক্রান্ত বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাতে বুধবার (৭ অক্টোবর) দুপুর ১টায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সাংবাদিক সম্মেলন ডাকা হয়েছে। সেখানে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি পরীক্ষার রুটিন ও আয়োজনের প্রস্তুতি সংক্রান্ত বিষয়ে তুলে ধরবেন।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল খায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, ১৫ নভেম্বরের মধ্যে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরুর চিন্তা আছে। সে লক্ষ্যে প্রস্তুতি চলছে।

তবে বিষয় না কমানো হলেও কমতে পারে পরীক্ষার নম্বর। পরীক্ষার পূর্ণমান ১০০ নম্বরের পরিবর্তে ৫০ শতাংশের মধ্যে প্রতিটি বিষয়ের পরীক্ষা নেয়া হতে পারে।

সম্প্রতি সাংবাদিক সম্মেলনে এইচএসসি-সমমান পরীক্ষা আয়োজনে প্রশ্নপত্র ও উত্তরপত্র মুদ্রণসহ সব প্রস্তুতি রয়েছে বলেও জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

জানা গেছে, শিক্ষা বোর্ডগুলোও প্রস্তুত। ১৫ দিন সময় পেলেই পরীক্ষার আয়োজন শুরু করতে পারবে তারা।

মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তাও জানান, রুটিন তৈরির ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধির বিষয়টি মাথায় রেখে নতুনত্ব আনার চিন্তা রয়েছে। সেটি হচ্ছে- দৈনিক একটির বেশি পরীক্ষা না রাখা এবং প্রত্যেক দিনই পরীক্ষা নেয়া। স্বাভাবিক সময়ে মূল বিষয়গুলোর পরীক্ষার পরে বিভাগভিত্তিক সকালে ও বিকেলে দুটি করে পরীক্ষা রাখা হতো। ফলে সকালে বিজ্ঞানের পরীক্ষা হলে বিকেলে মানবিক বা ব্যবসায় শিক্ষার পরীক্ষা নেয়া হতো। একটি পরীক্ষার পরে কেন্দ্র পরিষ্কারের বিষয়টি সামনে রেখে দৈনিক একটি রাখার চিন্তা করা হচ্ছে। তবে ধর্মীয় ও সাপ্তাহিক ছুটি বাদে অন্যসব দিন পরীক্ষা নেয়া হবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক জানান, পরীক্ষার কেন্দ্র ও সিটপ্ল্যান ইতোমধ্যে চূড়ান্ত করা হয়েছে। এক বেঞ্চে একজন করে শিক্ষার্থীদের ‘জেড’ আকারে বসানো হবে। সে হিসেবে প্রথম বেঞ্চে একপাশে একজন বসালে আরেকজনকে দ্বিতীয় বেঞ্চে অপর পাশে বসানো হবে। তৃতীয় বেঞ্চে বসানো হবে দ্বিতীয় বেঞ্চের বিপরীত পাশে। এই প্রক্রিয়ায় আসন ব্যবস্থা করতে গিয়ে কেন্দ্র সংখ্যা ১০ থেকে ২০ শতাংশ বেড়েছে। প্রতি কেন্দ্রে গড়ে ৬৫০ জন করে পরীক্ষার্থী আছে।

আরেকজন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক জানান, করোনা মহামারি শুরুর আগে সব সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের প্রশ্নপত্র ছাপানো শেষ করে মাঠপর্যায়ে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। শুধু মার্চের শেষ সপ্তাহে মাদরাসা বোর্ডের প্রশ্নপত্র ছাপানো শেষ হয়। লকডাউন ও করোনা পরিস্থিতির কারণে প্রশ্নপত্র এতদিন প্রেসে সংরক্ষিত ছিল। এ সপ্তাহে প্রশ্নপত্র পাঠানো শেষ হয়েছে। ইতোমধ্যে ছাপানো প্রশ্নেই পরীক্ষা নেয়া হবে। যদি সরকার আংশিক নম্বরে পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় তাহলে সকালে কেন্দ্র সচিবদের নির্দেশনা জানিয়ে দেয়া হবে। সে অনুযায়ী তারা শিক্ষার্থীদের অবহিত করবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here