নিউজবাংলা ডেস্ক:
ক্যাসিনো ব্যবসা, চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজির মাধ্যমে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে যুবলীগের সাবেক দফতর সম্পাদক কাজী আনিছুর রহমান ও তার স্ত্রী মোছা. সুমি রহমানের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি চার্জশিট (অভিযোগপত্র) অনুমোদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান দুদকের সচিব ড. মু আনোয়ার হোসেন হাওলাদার।
তিনি বলেন, কাজী আনিছ অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে নিজ নামে ১২ কোটি ৮০ লাখ ৬০ হাজার ৯২০ টাকা টাকা অর্জন ও তার স্ত্রী সুমি রহমান অসৎ উদ্দেশ্যে নিজ নামে ১ কোটি ৩১ লাখ ১৬ হাজার ৫০০ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। দুদকের তদন্তে তা প্রমাণ হয়েছে।
তিনি বলেন, কাজী আনিছ ১৪ কোটি ৯৫ লাখ ২৯ হাজার ৮৩৬ টাকা অর্জন করেছেন, যা তার আয়ের উৎসের সাথে অসংগতিপূর্ণ। এছাড়া তিনি দেশের বিভিন্ন ব্যাংকে নিজ নামে ও তার প্রতিষ্ঠানের নামে ২৫টি হিসাবে ২০১১ সাল থেকে মোট ১২৯ কোটি ৯১ লাখ ১৭ হাজার ২১৩ টাকা জমা করেন, যার মধ্যে ১২৩ কোটি ৫৪ লাখ ৪৫ হাজার ৮৪৮ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করেন।
দুদকের প্রতিবেদনে বলা হয়, আয়ের অবৈধ উৎস গোপন বা আড়াল করার অসৎ উদ্দেশ্যে তা স্থানান্তর, হস্তান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে অবস্থান গোপন করে কাজী আনিছ মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের প্রথমিক সত্যতা পাওয়ায় দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে কাজী আনিছ দম্পতির বিরুদ্ধে গত বছরের ২৯ অক্টোবর পৃথক দুটি মামলা করেন।
তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, সুমি রহমান ২ কোটি ৬১ লাখ ৬২ হাজার ২১৮ টাকা আয়ের উৎসের সাথে অসংগতিপূর্ণ সম্পদ অর্জন করেছেন। এক্ষেত্রে তার স্বামী কাজী আনিছ অবৈধ অর্থ বিভিন্ন উপায়ে স্ত্রীর হিসাবে স্থানান্তরসহ তাকে অবৈধ সম্পদ অর্জনে সহায়তা করে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্তকারী কর্মকর্তার সুপারিশের আলোকে আসামি সুমি রহমান ও তার স্বামী কাজী আনিছের বিরুদ্ধে উপযুক্ত অপরাধে দায়ে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা এবং দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় কমিশন কর্তৃক চার্জশিট দাখিলের অনুমোদন করা হয়।