নিউজবাংলা ডেস্ক:
ফেনী জেলা কারাগারের ফটকে ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত আসামির সঙ্গে ভুক্তভোগী তরুণীর বিয়ে দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরের দিকে জেলা কারাগারে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও বর-কনে উভয়পক্ষের উপস্থিতিতে ছয় লাখ টাকা দেনমোহরে এ বিয়ে সম্পন্ন হয়।
কারা সূত্রে জানা যায়, ২৯ মে ফেনীর সোনাগাজী এলাকায় ধর্ষণে অভিযুক্ত হয়ে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্যের ছেলে জহিরুল ইসলাম জিয়া। স্থানীয় আদালতে জামিন চেয়েও তিনি ব্যর্থ হন। পরে তার পরিবার তরুণীর পরিবারের সঙ্গে আপস-মীমাংসা করেন। জহিরুল ওই তরুণীকে বিয়ে করবেন-এমন কথা দিয়ে তার পক্ষে হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করা হয়। হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের আদালত জহিরুলকে জামিন না দিয়ে কারাফটকে জহিরুল ও ভুক্তভোগী তরুণীর বিয়ের আয়োজন করার জন্য ফেনী কারাগারের তত্ত্বাবধায়ককে নির্দেশ দেন। সেই সঙ্গে বিয়ের বিষয়ে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেন। এরই ধারাবাহিকতায় আজ দুপুরে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হলো।
সূত্র আরও জানায়, বিয়ে উপলক্ষে সকালে মিষ্টি নিয়ে দুই পক্ষের আত্মীয়-স্বজনসহ আইনজীবীরা কারাগারের ফটকে হাজির হন। পরে বিয়ের মূল আয়োজন সম্পন্ন করতে আসেন ফেনী জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মনিরুজ্জামান এবং কাজী আবদুর রহিম। এ সময় ছয় লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য করা হয়। পরে এক লাখ উশুল ধার্য করে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। এ সময় মিষ্টিমুখ করে দুই পরিবারের সদস্যরা কোলাকুলি করেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুজ্জামান জানান, অভিযুক্ত জিয়া সোনাগাজীর চরদরবেশ গ্রামের ইউপি সদস্য আবু সুফিয়ানের ছেলে। বিয়ে হয়েছে মর্মে উচ্চ আদালতে প্রতিবেদন পৌঁছার পর তার জামিনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবেন আদালত।