হুমায়ুন কবির, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :
১লা এপ্রিল, ১৯৭১ বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে বারোটায় হঠাৎ খবর আসলো হানাদার পাকিস্তানী বাহিনীর বিষয়খালী আক্রমণের। তড়িৎ গতিতে মুক্তিবাহিনী প্রধান মাহবুব সাহেব প্রতিরোধ বাহিনী নিয়ে অগ্রসর হলেন বিষয়খালী অভিমুখে। উভয় পক্ষে সামনা সামনি যুদ্ধ হলো।
এটাই বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রথম সমর। ভীষণ যুদ্ধ হয়েছিল ঠিক দুপুর একটার সময়। এই যুদ্ধেয় হানাদার বাহিনীর গুলিতে শাহাদাত বরণ করেন মোস্তফা কামাল। তৎকালীন এম পি ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের ইকবাল আনোয়ারুল ইসলামের ছেলে ছিলেন তিনি। তৎকালীন সময়ে এস এসসির শিক্ষার্থী তরুণ মোস্তফা কামাল দেশ কে শত্রুমুক্ত করতে সম্মুখ যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়ে দেশের তরে নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেন। সে দিনের যুদ্ধে হানাদার পাকিস্তানী বাহিনী বিষয়খালী নদী অতিক্রমে ব্যর্থ হয়ে ফিরে যায় যশোর ক্যান্টনমেন্টে।বিষয়কালী যাওয়ার পথে মোবারকগঞ্জ সুগার মিলের সামনে মোস্তফা কামালের ছোটো ভাই ১৪ বছর বয়সী এনামুল হক জান্ডার কে গুলি করে হত্যা করে পাকবাহিনী। বাংলাদেশের ইতিহাসে যুদ্ধ বিজয়ের গৌরবের প্রথম মাইল ফলক স্থাপন করে আছে এই বিষয়খালীর যুদ্ধে।
এই যুদ্ধের কাহিনী প্রথম বিদেশী রেডিও বিবিসি, ফরাসি বার্তা সংস্থা এবং অস্ট্রেলীয় রেডিও এবিসিতে প্রচার হয়।শহীদ মোস্তাফার স্মরণে বিষয়খালী তে একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়।যা এখন স্কুল এন্ড কলেজে রুপান্তরিত হয়েছে।আর এখানেই রয়েছে তার সমাধি।প্রতিষ্ঠান প্রধান নুরুল ইসলাম জানান,শহীদ মোস্তাফার স্মরনে নানা কর্মসূচির মাধ্যমে তার স্মৃতিচারণ করা হয় প্রতি বছর।এ বছর করোনার কারণে সিমীত পরিসরে কর্মসূচী নেওয়া হয়েছে।শহীদের কবর জিয়ারতপূর্বক মিলাদ মহফিলের আয়োজন করা হয়।