হুমায়ুন কবির সোহাগ ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :
আসন্ন তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার ৯ নং বারোবাজার ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের মেম্বার পদপ্রার্থী মো:মেহেদী জামান মনির ও তার পরিবারের সদস্যদেরকে হত্যার হুমকি প্রদান করছে প্রার্থী হাসানুজ্জামান ঝন্টু। এই ঘটনায় মেম্বার পদপ্রার্থী মেহেদী জামান ২২ নভেম্বর নিজে বাদি হয়ে কালীগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডাইরী করেন (কালীগঞ্জ থানা – জিডি নং ১১৬৭)।ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কালীগঞ্জ উপজেলায় তিনজন চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন, তারমধ্যে বারোবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব কালাম হোসেন রয়েছেন। এই ইউনিয়ন পরিষদের একটি গুরুত্বপূর্ণ ওয়ার্ড হলো দুই নম্বর ওয়ার্ড। যেটি বারবাজার,সাদিকপুর ও হাসিলবাগ গ্রাম নিয়ে গঠিত। এই ওয়ার্ডে মোট ভোটার রয়েছেন ২৩০২ জন।২৮ তারিখের নির্বাচনে ২ নং ওয়ার্ড থেকে মেম্বার পদে ৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।তারা হলেন টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে মো:মেহেদী জামান মনির,ফুটবল প্রতীক নিয়ে আবু সাইদ,তালা প্রতীক নিয়ে নওশের আলী ও মোরগ প্রতীক নিয়ে হাসানুজ্জামান ঝন্টু। এই চার প্রার্থীর মধ্যে বর্তমানে প্রচার-প্রচারণা ও জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছেন টিউবওয়েল প্রতীকের মেহেদী জামান মনির। স্থানীয়ভাবে তিনি যুবলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত আছেন। পেশায় তিনি একজন ব্যাবসায়ী। তরুণ এই সমাজসেবক জনগণের চাওয়ার প্রেক্ষিতে ভোট যুদ্ধে নেমেছেন। এ ব্যাপারে মেহেদী জামান মনির জানান,আমি রাজনৈতিক পরিবারে বেড়ে উঠেছি।ছোটো বেলায় আমার বাবাকে দেখেছি সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের সাথে মিশে চলতে। তখন থেকেই নিজেকে সাধারনের কাতারে দাড় করিয়েছি।আজ আমি আমার ওয়ার্ডের জনগনের একান্ত ইচ্ছায় প্রার্থী হয়েছি। কিন্তু আমার প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী মোরগ প্রতীকের শ্রাদ্ধাভাজন ঝন্টু চাচা আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে আমাকে হত্যার হুমকি দেয়।কোনো ধরনের হুমকি ধামকিতে আমি ভোটের মাঠ ছেড়ে পালাবার মত প্রার্থী আমিনা। ইনশাআল্লাহ আগামী ২৮ তারিখ আমার ওয়ার্ডবাসী টিউবওয়েল প্রতীক প্রত্যেককেই বেছে নেবে। অভিযুক্ত হাসানুজ্জামান ঝন্টু বলেন,আমার প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী টিউবওয়েল প্রতীকের মেহেদী জামান মনির সম্পর্কে আমার ভাতিজা হয়। আমার বিরুদ্ধে তাঁর করা অভিযোগ সব মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। ৯ নং বারোবাজার ইউনিয়নের রিটার্নিং কর্মকর্তা তরুন কুমার জানান,বারোবাজার ইউনিয়ন পরিষদের ২ নং ওয়ার্ডের মেম্বার পদপ্রার্থী মেহেদী জামান মনিরের দেওয়া একটি অভিযোগ আমরা পেয়েছি।ইতিমধ্যে অভিযোগপত্রটি স্ব-স্ব দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। কালীগঞ্জ থানা পুলিশ তদন্তকরে যথাযথ আইনি ব্যাবস্থা গ্রহণপূর্বক প্রার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। উলেক্ষ্য,দেশজুড়ে কয়েকধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন গুলোতে মেম্বার পদপ্রার্থীদের মধ্যে ব্যাপক দ্বন্দ্ব-সংঘাত দৃশ্যমান হয়। এতে করে ঝরে যাই অনেক তাজা প্রাণ। তাই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর উচিত হবে এইসব দ্বন্দ্ব নিরসনের জন্য কঠোর হওয়া।