বিদেশ ডেস্ক :

ভারত দখলীকৃত জম্মু-কাশ্মীরের শিক্ষার্থীদের নিয়ে মন্তব্য করে ব্যাপক সমালোচনার মুখে রয়েছেন শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী পাকিস্তানি মালালা ইউসুফজাই (২২)। ভারতের অনেকে অভিযোগ করেছেন, তিনি পাকিস্তানি এজেন্ট হিসেবে কাজ করছেন। পাকিস্তানের সোয়াত উপত্যকায় নারীশিক্ষার একজন প্রচারকের দায়িত্ব পালন করছিলেন মালালা। এ জন্য ২০১২ সালের ডিসেম্বরে তালেবান এক অস্ত্রধারী তাকে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে গুলি করে। জীবনমরণের সন্ধিক্ষণে থাকা মালালা শেষ পর্যন্ত জীবন ফিরে পান। তাকে ভারতের কৈলাশ সত্যার্থীর সঙ্গে যৌথভাবে দেয়া হয় শান্তিতে নোবেল পুরস্কার।
গত ৫ই আগস্ট ভারত সরকার একতরফাভাবে জম্মু কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসন বাতিল করে। অব্যাহত কারফিউয়ে মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। এ নিয়ে পাকিস্তান সরকার আন্তর্জাতিক ফোরামগুলোতে অব্যাহতভাবে অভিযোগ করে আসছে। কাশ্মীর পরিস্থিতি নিয়ে ১৪ই সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন মালালা। কাশ্মীরের শিশুরা, ছেলেমেয়েরা যাতে নিরাপদে স্কুলে ফিরতে পারে সে জন্য তিনি জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনের প্রতি সাহায্য চান। এ নিয়ে তিনি টুইটে লিখেছেন, শিশু সহ প্রায় ৪০০০ মানুষকে গ্রেপ্তার ও জেলে দেয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীরা ৪০ দিনের বেশি স্কুলে যেতে পারছে না। মেয়েরা ভয়ে বাড়ির বাইরে যেতে পারছে না। এসব বিষয়ে আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। তাই আমি জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনের নেতাদের প্রতি ও এর বাইরে যারা রয়েছেন তাদের সবার প্রতি কাশ্মীরে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করার আহ্বান জানাচ্ছি। কাশ্মীরি মানুষের কথা শুনতে আহ্বান জানাচ্ছি। অনুরোধ করছি ছেলেমেয়েরা যেন নিরাপদে স্কুলে ফিরতে পারে।
মালালার এ টুইটের জবাবে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভারতের উগ্র হিন্দুত্ববাদী শিবসেনা নেতা প্রিয়াংকা চতুর্বেদী। তিনি বলেছেন, কাশ্মীরি মেয়েদের কথা বলে পাকিস্তানি এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছেন মালালা। অন্যদিকে মালালার সমালোচনা করেছেন বিজেপি নেতা শোভা কারান্ডলাজে। তিনি বলেছেন, পাকিস্তানে কিভাবে সংখ্যালঘুদের নির্যাতন করা হচ্ছে সেদিকে দৃষ্টি দেয়া উচিত শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ীর। তিনি বলেছেন, মালালার নিজের দেশে জোর করে ধর্মান্তরিত করা হচ্ছে। নিষ্পেষণ চলছে সংখ্যালঘু মেয়েদের ওপর। একই রকম অভিযোগ করেছেন চন্ডিগড় ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার প্রেসিডেন্ট গৌরব গয়াল প্রমুখ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here