নিউজবাংলা ডেস্ক:

ময়না রে, ব্যাচেলর, কেউ নেই- এর মতো জনপ্রিয় গানের স্রষ্টা তরুণদের জনপ্রিয় ব্যান্ডদল ‘কুঁড়েঘর’। গানের জাদুতে ইউটিউব ও সোশ্যাল মিডিয়া মাতিয়ে রেখেছেন এই ব্যান্ডের শিল্পীরা। ইতোমধ্যে বাংলাদেশের একমাত্র ব্যান্ড এর ইউটিউব চ্যানেল হিসেবে ইউটিউবের পক্ষ থেকে পেয়েছেন গোল্ডেন প্লে বাটন। শুধু রোমান্টিক ধাঁচের গান নয়, দেশাত্মবোধ নিয়ে কাজ করে সম্প্রতি সব বয়সী শ্রোতাদের মনে জায়গা করে নিয়েছে ব্যান্ড কুঁড়েঘর।

২০১৭ সালের ৫ জানুয়ারি যাত্রা শুরু করে কুঁড়েঘর। প্রতিষ্ঠাতা তাশরিফ ও তার সঙ্গে একদল গানপ্রিয় তরুণের হাত ধরে এগিয়ে চলছে ব্যান্ড দলটি। দেশে ও দেশের বাইরে শতাধিক কনসার্টে দর্শক মাতিয়েছেন তাশরিফ, তানজীব, তানভীর প্রিয়ম, প্রান্ত, শান্ত, মিঠু, দুলাল, আজিজুলের দল। গানের কথার জন্য কখনও রেললাইনে, কখনও বস্তিতে আবার কখনও বৃদ্ধাশ্রমে সময় দিয়েছেন তারা। শীতার্তদের জন্য গান গেয়ে অর্থ সংগ্রহও করেছেন এই ব্যান্ডের সদস্যরা।

কুঁড়েঘরের গিটারিস্ট, ম্যানেজার এবং ডিজিটাল এক্সপার্ট তানজীব খান বলেন, শুরুর গল্পটা বেশ চ্যালেঞ্জিং ছিল। আমাদের বিশ্বাস ছিল আমরা পারবো। মাত্র ২০ হাজার টাকায়ও কনসার্ট করেছি অনেক। শুরুতে আমাদের হাতে অনেক সময় ছিল, তাই সময়ের দাম কম। মানুষ যা দিতে পারতো তাতেই খুশি হয়ে চলে যেতাম। শারীরিক কষ্ট হয়েছে অনেক। সারাদিন প্র্যাক্টিস করে চা-বিস্কুট খেতে হয়েছে। কারণ সাতজনের হোটেলে খাওয়ার পয়সা ছিল না শুরুতে। কিন্তু কোনো দিনও মন খারাপ হয়নি। কষ্টগুলোকে আসলেই কষ্ট মনে হয়নি আমাদের।

প্রিয়ম বলেন, ঘণ্টা লেগে যেত আর পুরো সময়টাই আমরা ফ্যান বন্ধ করে দরজা জানালা লাগিয়ে ঘামতে ঘামতে সবাই একদম গোসল হয়ে যেতাম। ভিডিওতে ঠিকমতো ট্যাগিং করা কিংবা থাম্বেল এড করাটা শিখতে প্রায় বছরের বেশি সময় লেগেছে আমাদের। গত তিন বছর, প্রতিটা দিনই ছিল কিছু না কিছু শেখার দিন!

প্রান্ত বলেন, প্রতিদিনই আমরা শিখছি। ভালোমন্দ মিলেই চলছে কুঁড়েঘর। একে একে গান আসে এবং আরও বৃহৎভাবে সাড়া পেতে থাকি আমরা। বাড়তে থাকে কনসার্ট আর আমাদের জীবনের গতি। সবার দোয়ায় এবং আমাদের অক্লান্ত চেষ্টায় ছোট্ট কুঁড়েঘর আজ মানুষের ভালোবাসায় পূর্ণ। সেই পূর্ণতায় যোগ হলো বাংলাদেশের একমাত্র ব্যান্ড এর ইউটিউব চ্যানেল হিসেবে ইউটিউবের পক্ষ থেকে পাওয়া স্বীকৃতি গোল্ডেন প্লে বাটন।

প্রতিষ্ঠাতা তাশরিফ খান বলেন, ২০১৬ সালের ৮ আগস্ট নিজের ব্যক্তিগত ইউটিউব চ্যানেল ক্রিয়েটের পর একা একা গান গেয়ে আপলোড করা শুরু করি। কিছুদিনের মধ্যেই এলাকার পরিচিত কিছু ছোট ভাই আর বন্ধুকে ডেকে সিদ্ধান্ত নিয়েই আমরা একটা ব্যান্ড করবো, যার নাম ঠিক হয় ‘কুঁড়েঘর’। সেই থেকে যাত্রা শুরু। এখন আমাদের সহযাত্রী আমাদের শ্রোতা আর দর্শক। ইউটিউব আমাদের স্বীকৃতি দেয়া মানেই যে আমরা ভালো ব্যান্ড তা কিন্তু মোটেই নয়, আমাদের ভালো কিংবা খারাপের বিচারক যারা আমাদের গান শুনেন, শুনছেন কিংবা ভবিষ্যতে শুনবেন। ব্যান্ড হিসেবে আমরা একেবারেই শিশু। বড় স্টেজে নিজেদের ব্যান্ড বলার আগে এখনও ডানে-বাঁয়ে তাকাই। একদিন নিশ্চয়ই আমরা পূর্ণতা পাব

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here