নিজস্ব প্রতিনিধি:

আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে বইছে নির্বাচনি হাওয়া। এখানে নৌকার মনোনয়ন পেয়েছেন এডভোকেট আঃ কাঃ মঃ সরওয়ার জাহান বাদশাহ। এলাকায় লোকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে অন্য প্রার্থীদের তুলনায় এলাকায় বাদশাহর গ্রহণযোগ্যতা বেশি। দুর্নীতিমুক্ত, জনবান্ধব মানুষ হিসেবে এলাকায় তার রয়েছে ব্যাপক সুনাম। যেকোনো মানুষ তার কাছে গিয়ে নির্দ্বিধায় মনের কথা বলতে পারে। আবার দলেও তার ভাবমূর্তি উজ্জ্বল।

অতীতে বহুবার দলীয় প্রার্থী হতে চাইলেও মনোনয়ন না পাওয়ায় দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন তিনি। দলের প্রতি এমন আনুগত্যও তার এবারের মনোনয়ন পাওয়ায় সহায়ক হয়েছে বলে জানা যায়। এছাড়া অনেকের নিজস্ব ক্যাডার বাহিনী থাকলেও বাদশাহর নিজস্ব কোনো বাহিনী নেই। এ বিষয়ে সাংসদ বলেন, “জনগণের সেবা করার জন্য আমি সাংসদ হয়েছি। তাদের সেবা করতে পেরে আমি নিজেকে ধন্য মনে করি। মানুষের মাঝে ভীতি ছড়ানো আমার লক্ষ্য নয়। জনগণের পাশে থাকতে পারলেই আমি খুশি। আমার কোনো ক্যাডার বাহিনীর প্রয়োজন নেই।”
খোঁজ নিয়ে জানা যায় বিগত পাঁচ বছরে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ব্যাপক উন্নয়ন কাজ হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড়ো দৃষ্টান্ত প্রত্যন্ত চরাঞ্চলের মানুষের ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া। এছাড়া হিসনা নদী খননের মাধ্যমে কৃষকের সেচের পানির ব্যবস্থা, রাস্তাঘাট পাকা করণ, গৃহহীনদের বাড়ির ব্যবস্থা করাসহ বহু কাজ করেছেন গত পাঁচ বছরে।
সাধারণ জনগণের কাছে বাদশাহর যে জিনিসটি সবচেয়ে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে তা হলো বিগত পাঁচ বছরে এলাকার শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখা। পূর্বে এলাকা নানান সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অশান্ত থাকলেও বাদশাহ এমপি হওয়ার পর এলাকায় দলমত নির্বিশেষে সবাই শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করতে পেরেছে। ফলে নির্বাচনে জয়ী হওয়ার দৌড়ে সাধারণ ভোটারের কাছে অন্যদের থেকে এগিয়ে রয়েছেন বাদশাহ।
এবারের নির্বাচনে দৌলতপুরে বাদশাহ ছাড়াও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন সাবেক এমপি আলহাজ্ব রেজাউল হক চৌধুরী। তিনি ২০১৪ সালের নির্বাচনেও বিদ্রোহী প্রার্থী ছিলেন। বিএনপি বিহীন সেই নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী আফাজ উদ্দিনকে পরাজিত করে নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। এবারের নির্বাচনেও বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে ট্রাক প্রতীকে নির্বাচন করছেন তিনি।
এছাড়া ইগল পাখি প্রতীক নিয়ে রয়েছেন আওয়ামী লীগের আরেক বিদ্রোহী প্রার্থী অধ্যাপক নাজমুল হুদা পটল। তিনি সাবেক এমপি আফাজ উদ্দিনের পুত্র।
এবারের নির্বাচনে এই তিনজন প্রার্থী ছাড়াও রয়েছেন কেটলি প্রতীক নিয়ে ফিরোজ আল মামুন, লাঙল প্রতীক নিয়ে জাতীয় পার্টির শাহরিয়ার জামিল জুয়েল, মশাল প্রতীক নিয়ে জাসদের শরিফুল কবির স্বপন, সোনালি আঁশ প্রতীক নিয়ে আনিসুর রহমান এবং হাতুড়ি প্রতীক নিয়ে মজিবর রহমান।
যোগ্যতার বিচারে এবারের নির্বাচনে কে বেশি উপযুক্ত এমন প্রশ্নে ফিলিপনগর ইউনিয়নের ব্যবসায়ী আমজাদ হোসেন বলেন, “শিক্ষাদীক্ষা এবং ভদ্র হিসাবে আমার মনে হয় বাদশাই এগিয়ে। তাছাড়া গত পাঁচ বছরে এলাকায় যে শান্তি ছিল আগে এমন ছিল না।”
হোগলবাড়িয়া ইউনিয়নের ইয়াদুল ইসলাম বলেন, “বাদশা এমপি হয়া আমারে উপজেলায় যে উন্নতি হইচে তা আগে কেউ করিনি। তাই আমি মুনে করি বাদশাই যোগ্য প্রার্থী। ”
উপজেলার অনেকেই মনে করেন সুষ্ঠু নির্বাচন হলে নৌকার প্রার্থী আঃ কাঃ মঃ সরওয়ার জাহান বাদশাহ আবারও দৌলতপুরের এমপি হতে চলেছেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here