কুষ্টিয়া প্রতিনিধি :
স্থানীয়রা জানান, বেশ কিছুদিন ধরে ব্লাড ক্যান্সারে ভুগছিল পশ্চিম-দক্ষিণ ফিলিপনগর গ্রামের মহসিন আলীর ছেলে মো. রাব্বি হোসেন। বাবার সঙ্গে রাব্বি রাজধানীর ফুটপাতে হকারি করতো। সে অসুস্থ হয়ে পড়লে ঈদের আগে গ্রামের বাড়িতে চলে আসেন তারা। রোববার বিকেলে নিজ বাড়িতে রাব্বি’র মৃত্যু হলে পিতা মহাসিন আলী তার ছেলের মরদেহ একই এলাকার ভন্ড ফকির শামীম রেজার হাতে তুলে দেয়। পরে ফকির শামীম রেজার অনুসারীরা মুসলিম ধর্মীয় রীতি না মেনে ঢোল বাজিয়ে নেচে-গেয়ে রাব্বির মরদেহ শামীম রেজার আস্তানার পাশে সমাহিত করে। ইসলাম ধর্ম বিরোধী এমন কর্মকান্ড কুষ্টিয়া-১ দৌলতপুর আসনের এমপি সরওয়ার জাহান বাদশার বাড়ির পাশে ঘটলেও তিনি কোন ব্যবস্থা নেননি বা তাদের ইসলাম ধর্ম বিরোধী কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকতে নিষেধ করতে দেখা যায়নি।
তবে এ বিষয়ে কুষ্টিয়া-১ দৌলতপুর আসনের এমপি সরওয়ার জাহান বাদশা জানিয়েছেন, আমার বাড়ির পাশে না, ঘটনাটি আমার পাড়ায় ঘটেছে। আমি জানাজায় অংশ নিয়েছি, শরীরটা অসুস্থ থাকায় দাফনে অংশ নিতে পারিনি। পরে শুনেছি তারা ঢাক-ঢোল পিটিয়ে ওই মৃত ছেলেটির দাফন করেছে। এমন ঘটনা ঘটানোর বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
এদিকে ঢোল বাজিয়ে নেচে গেয়ে মুসলিম কিশোরের দাফনের ভিডিও মোবাইল ফোনে ধারণ করে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিলে দৌলতপুর সহ সর্বত্র আলোচনা সমালোচনা শুরু হয় এবং ইসলামধর্ম বিরোধী কর্মকান্ডে জড়িত ভন্ড ফকির শামীম রেজার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন এলাকাবাসী।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভন্ড ফকির শামীম রেজা ফকির গোলাম এ বাবা কালান্দার জাহাঙ্গীর সুরেশ্বরীর অনুসারী। নিজ বাড়িতে তার একটি আস্তানাও রয়েছে। ভক্ত অনুসারীদের নিয়ে তিনি সেখানেই সময় কাটান। গোলাম এ বাবা কালান্দার জাহাঙ্গীর সুরেশ্বরী অনুসারীদের কেউ মারা গেলে নেচে গেয়ে তার মরদেহ দাফন করা হয়।
ইসলামধর্ম রীতি বিরোধী কর্মকান্ডের বিষয়ে দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আক্তার বলেন, বিষয়টি দৌলতপুর থানার ওসিকে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলে তিনি ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছেন।