নিউজ বাংলা ডেস্ক: সবুজ, হলুদ কিংবা লাল- রং ভেদে ক্যাপ্সিকামের পুষ্টিগুণেরও পার্থক্য রয়েছে।
যদিও বিভিন্ন রংয়ের ক্যাপ্সিকাম মূলত সবুজ ক্যাপ্সিকামের পরিপক্কতার নানান পর্যায়। পুষ্টিবিজ্ঞানের তথ্যানুসারে লাল, হলুদ ও কমলা রংয়ের ক্যাপ্সিকাম সবুজের তুলনায় বেশি পুষ্টিকর। পুষ্টিবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে এই বিষয়ের ওপর প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে বিস্তারিত জানানো হল।
সবুজ ক্যাপ্সিকাম: পুষ্টি-বিশেষজ্ঞদের মতে, সবুজ ক্যাপ্সিকাম পরিপক্ক হওয়ার আগের তুলে ফেলা হয়। এটা খানিকটা কষ-জাতীয় এবং কচকচে হয়ে থাকে। এটা লাল, হলুদ বা কমলার মতো মিষ্টি নয়।
হলুদ ক্যাপ্সিকাম: সবুজ ক্যাপ্সিকামের চেয়ে বেশি পরিপক্ক অবস্থা। এর স্বাদ কমলা ও লাল রংয়ের ক্যাপ্সিকামের মাঝামাঝি। যে কারণে এটা গ্রিলড বা ভাজা খাবারের সঙ্গে অথবা খাবারে মিষ্টিভাব আনতে ব্যবহার করা হয়।
লাল ক্যাপ্সিকাম: লাল রংয়ের ক্যাপ্সিকাম পরিপক্ক, উজ্জ্বল লাল রং ও মিষ্টি স্বাদযুক্ত। এটা উচ্চ ‘ক্যারোটিনয়েড ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস’ এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ। এতে সবুজ ক্যাপ্সিকামের চেয়ে প্রায় ১১ গুন বেশি বেটা-ক্যারোটিন থেকে। সালাদ বা অন্যান্য খাবারের সঙ্গে পরিবেশনের জন্য উপযুক্ত।
কমলা ক্যাপ্সিকাম: মিষ্টি তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, এটার স্বাদ লাল ক্যাপ্সিকামের চেয়ে কম। প্রধানত সালাদ বা এশীয় খাবার পরিবেশনে ব্যবহৃত হয়।
ক্যাপ্সিকামের স্বাস্থ্যগুণ: গবেষণা অনুযায়ী, ক্যাপ্সিকাম হৃদরোগ প্রতিকারে সাহায্য করে। এই সবজি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ যা শরীরে ফাইটোকেমিকেল চক্রে সাহায্য করে। ডিএনএ’য়ের ক্ষয়ের বিরুদ্ধে কোষ রক্ষা ও কোষ মেরামত করতে সাহায্য করে। রোগ প্রতিকারক, মস্তিষ্কের ক্ষতিগ্রস্ত কোষ মেরামত, অক্সিডেটিভ চাপ, শিশুর হাঁপানি এবং ক্যান্সার দূরে রাখতে সাহায্য করে। হাড়ের স্বাস্থ্যও ভালো রাখে।
ক্যাপ্সিকামের ভিটামিন কোষে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের প্রভাব ঘটিয়ে কোষ-কলা সুস্থ রাখে এবং বলিরেখা ধীর করে।
নারীদের রজোঃনিবৃত্তি’র সময়ে বিভিন্ন অসুবিধা দূর করতে সাহায্য করে।