নিউজ বাংলা ডেস্ক: ভারতনিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের জনগণ ১৯৪৭ সালের পর থেকে সাংবিধানিকভাবে যে বিশেষ মর্যাদা পেত, সেটি বাতিল করে দিয়েছে নরেন্দ্র মোদির সরকার। গত সোমবার ভারতের সংবিধান থেকে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা সংক্রান্ত ৩৭০ ধারা বিলোপ করা হয়। এটি মেনে নিতে পারছে না জম্মু-কাশ্মীরের জনগণ। এর মধ্য দিয়ে জম্মু-কাশ্মীরের মুসলিম পরিবারগুলোর নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন। অনেকেই এলাকা ছেড়ে পালাচ্ছেন।
গত মঙ্গলবার বিক্রম সাইনি নামে উত্তরপ্রদেশের খাটাউলি এলাকার বিধায়ক দলের এক সভায় বলেন, বিজেপিকর্মীরা এখন কাশ্মীরে নির্ভয়ে যেতে পারবেন। জমি কিনে সেই রাজ্যের মেয়েদের বিয়ে করতে পারবেন। তার এমন মন্তব্যের পর ভারতীয় যুবকরা গুগল সার্চে কাশ্মীরি নারীদের খোঁজ করা শুরু করে দিয়েছেন।
কাশ্মীরি মেয়েদের কীভাবে বিয়ে করা যায়, সে বিষয়টি গুগলে জানতে সার্চ চলছে ভারতজুড়ে। গত দুদিনে ভারত থেকে যেসব বিষয়ে সবচেয়ে বেশিবার গুগলে সার্চ করা হয়েছে, তার মধ্যে একদম ওপরে রয়েছে ‘ম্যারি কাশ্মীরি গার্ল’। বিজেপির বিতর্কিত এ বিধায়ক এর আগে নরেন্দ্র মোদিবিরোধীদের ‘ভারতবিরোধী’ বলে বিতর্ক তৈরি করেছিলেন। বিরোধী কণ্ঠস্বর বন্ধ করতে তাদের বোমা মেরে, মেরে ফেলা উচিত বলেও মন্তব্য করেছিলেন তিনি।
মঙ্গলবার তিনি বলেন, আগে কাশ্মীরি মেয়েদের ওপর নানা ধরনের নৃশংস কার্যকলাপ চলত। সেখানকার মেয়েরা উত্তরপ্রদেশ বা দেশের অন্য যুবকদের বিয়ে করলে তাদের নাগরিকত্ব খারিজ করা হতো। কাশ্মীরের বাসিন্দাদের জন্য দ্বৈত নাগরিকত্ব ছিল। কিন্তু ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের ফলে সেসব আর হওয়ার সুযোগ নেই। দলের অবিবাহিত যুবকরা এর ফলে বেশ উত্তেজিত।
কেরালার পরেই দ্বিতীয় স্থানে আছে কর্নাটক। কাশ্মীরি মেয়েদের বিয়ে করতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিরাও। তবে এ ক্ষেত্রে তারা বেশ পিছিয়ে, রয়েছে ষষ্ঠ স্থানে।