শিক্ষার্থীরা হলেন- এশিয়ান ইউনিভার্সিটির বাংলা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র আবু খালেদ মোহাম্মদ জাবেদ, স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের বোরহান উদ্দিন, মানারাত ইউনিভার্সিটির শেষ বর্ষের রেজাউল খালেক ও ঢাকা ইউনানী আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজের সাবেক ছাত্র ডা. সৈয়দ মমিনুল হাসান। তারা মিরপুরে থাকতেন।
সংবাদ সম্মেলনে তাদের স্বজনরা জানান, ২৯ ডিসেম্বর (শনিবার) শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেট থেকে শপিং শেষে বাড়ি ফেরার পথে ফার্মগেটে বাস থামিয়ে সাদা পোশাকে পুলিশ তাদের আটক করে।
স্বজনদের দাবি, বাসে থাকা ওই চারজনের অপর এক বন্ধুর মাধ্যমে আটকের বিষয়টি তারা জানতে পারেন। তারপর তেজগাঁও থানা এবং পার্শ্ববর্তী সব থানাসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করলে সবাই আটকের বিষয় অস্বীকার করেন।
তারা আরও জানান, আটকের পর দুই দিন পেরিয়ে গেলেও আইন অনুযায়ী তাদের আদালতে হাজির করা হয়নি- যা উদ্বেগের বিষয়। তারা তাদের সন্তানদের নিয়ে শঙ্কিত।
অভিভাবকরা বলেন, আমরা বিশ্বস্ত সূত্র থেকে জানতে পেরেছি, আমাদের সন্তানরা পুলিশের হেফাজতেই আছে। নিরপরাধ মেধাবী ছাত্রদের গ্রেফতার করে অস্বীকার এবং এত দিন পেরিয়ে গেলেও আদালতে না আনায় আমরা উদ্বিগ্ন। এটা কোনোভাবেই দায়িত্বশীল পুলিশের কাজ হতে পারে না। দেশের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় আমরা তাদের জীবন নিয়ে শঙ্কাবোধ করছি।
আমাদের জানা মতে, তারা কোনো অপরাধের সঙ্গে জড়িত নয়। এরপরও যদি কোনো অপরাধ করে থাকে তাহলে দেশের আইন মেনে বিচার হওয়ার কথা, কিন্তু পুলিশ তা-ও করছে না।
স্বজনরা বলেন, আমরা এখন নিরুপায় হয়ে আমাদের নিখোঁজ স্বজনদের সন্ধান ও মুক্তির জন্য এই সংবাদ সম্মেলন করেছি। আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের কাছে তাদের নিরাপত্তা দাবি করছি। আপনাদের মাধ্যমে জাতীয় মানবাধিকার সংগঠনসহ দেশি-বিদেশি বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের কাছে আমাদের স্বজনদের মুক্তির ব্যাপারে সোচ্চার হওয়ার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করছি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আবু খালেদ মোহাম্মদ জাবেদের ছোটভাই আবু হাসনাত, বোরহান উদ্দিনের বড় ভাই মো. মনির, রেজাউল খালেকের বাবা আব্দুল খালেক, ডা. সৈয়দ মমিনুল হাসানের বড় ভাই সৈয়দ ইদরাক।