নিউজবাংলা ডেস্ক

চিত্রনায়ক শাহীন আলম আর নেই।  কিডনিজনিত জটিলতায় তিনি সোমবার রাত ১০টা ৫ মিনিটে তিনি মারা যান। ইন্নালিল্লাহে ওয়া ইন্নাইলাইহে রাজিউন।

তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন শাহীন আলমের ছেলে ফাহিম নূরে আলম। এর আগে গত সপ্তাহে তাকে রাজধানীর আজগর আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ৬ মার্চ থেকে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন অভিনেতা শাহীন আলম।

শাহীন আলমের ছেলে ফাহিম নূর আলম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আগে থেকে বাবা কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন। গত সোমবার তার জ্বর আসে। আর শনিবার তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।

তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ পাঁচটি বছর ধরে বাবা (শাহীন আলম) কিডনির সমস্যায় ভোগেন । আমরা চেষ্টার কোনো ত্রুটি রাখিনি। গেল শনিবার রাতে বাবার অবস্থা খারাপ হয়ে পড়ে। তখন দ্রুত তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়।’

দীর্ঘদিন ধরেই সিনেমাতে অনিয়মিত ছিলেন শাহীন আলম। হঠা করে ২০১৯ সালে খবর পাওয়া যায় তিনি গুলিস্তানে কাপড়ের ব্যবসা করে দিনাতিপাত করছেন। নিজে কিডনি রোগে আক্রান্ত। পরিবারের তিনি ছাড়া আর কেউ উপার্জনক্ষম নেই। পরিবারের খরচ মিটিয়ে নিজের দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসার খরচ চালিয়ে বিপর্যস্ত তার আর্থিক অবস্থা।

তার ওপর করোনার সময়টাতে ব্যবসা বন্ধ ছিলো। খুবই করুণ দিন পার করেছেন তিনি সংসার নিয়ে। এসময় হঠাৎ শাহীন আলমের এই সংকটাপন্ন অবস্থা অকূল সাগরে যেন ভাসিয়ে দিয়েছে তার পরিবারকে। সেই অসহায়ত্বের কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে সাহায্য কামনা করেছেন শাহীন আলমের ছেলে ফাহিম।

তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরেই বাবা চিকিৎসা নিচ্ছেন। বলা চলে চিকিৎসার উপরই বাবা টিকে ছিলেন। এতে করে আমাদের পরিবারের আর্থিক অবস্থা নাজেহাল। লাইফ সাপোর্টে নেয়ার পর খরচটা অনেক বেড়ে গিয়েছিল। প্রতিদিন ১ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে । এই অর্থের যোগান দিতে গিয়ে আমরা একেবারে অসহায় হয়ে পড়েছি। দুচোখে এখন সত্যি অন্ধকার দেখছি।’

১৯৮৬ সালে নতুন মুখের সন্ধানের মাধ্যমে চলচ্চিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পান শাহীন আলম। তার অভিনীত প্রথম সিনেমা ‘মায়ের কান্না’ ১৯৯১ সালে মুক্তি পায়। এর পরে আরো অনেক সিনেমায় অভিনয় করেন তিনি।

তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে- ঘাটের মাঝি, এক পলকে, গরিবের সংসার, তেজী, চাঁদাবাজ, প্রেম প্রতিশোধ, টাইগার, রাগ-অনুরাগ, দাগী সন্তান, বাঘা-বাঘিনী, আলিফ লায়লা, স্বপ্নের নায়ক, আঞ্জুমান, অজানা শত্রু, দেশদ্রোহী, প্রেম দিওয়ানা, আমার মা, পাগলা বাবুল, শক্তির লড়াই, দলপতি, পাপী সন্তান, ঢাকাইয়া মাস্তান, বিগবস, বাবা ও বাঘের বাচ্চা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here