নিউজবাংলা ডেস্ক:
কোনও দেশের নাগরিকদের গড় আয়ুকে সেখানকার অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন, বিশেষ করে চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যখাতে সফলতার চাক্ষুষ প্রমাণ হিসেবে মনে করা হয়। ইতোমধ্যেই বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে পরিণত হয়েছে চীন। ফলে তাদের অর্থনৈতিক ভিত্তি যে মজবুত, তা নিয়ে সন্দেহ নেই। এবার গড় আয়ুর দিক থেকেও সামঞ্জস্যপূর্ণ প্রমাণ উপস্থাপন করেছে দেশটি।
বর্তমানে চীনাদের গড় আয়ু বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৭ দশমিক ৩ বছর। ২০১৫ সালের তুলনায় যা ০.৯৬ শতাংশ বেশি।
সম্প্রতি চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের (এনএইচসি) এক পরিসংখ্যানে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গড় আয়ু বৃদ্ধির এ ঘটনাকে মেডিকেল ও স্বাস্থ্যখাতে চীনের ১৩তম পাঁচ বছর মেয়াদী পরিকল্পনার সফল বাস্তবায়ন হিসেবে উল্লেখ করেছে দেশটি।
চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা শিনহুয়া জানিয়েছে, মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্যসেবায় চীনের অবিচ্ছিন্ন বিনিয়োগ, স্বাস্থ্য সম্পর্কিত দারিদ্র্য হ্রাস কর্মসূচি বাস্তবায়ন এবং সার্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা ব্যবস্থা প্রচারের ফলে দেশটিতে গড় আয়ু বৃদ্ধি পেয়েছে।
২০১৬ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত অন্তত ৫৯৪টি মাতৃ ও শিশু সেবা প্রতিষ্ঠানে ১০ বিলিয়ন ইউয়ানেরও বেশি অর্থবরাদ্দ দিয়েছে চীনের কেন্দ্রীয় সরকার।
১৩তম পাঁচ বছর মেয়াদী পরিকল্পনার সময় চীনে সাধারণ মেডিকেল বীমা কর্মসূচি স্থিতিশীল ছিল বলে জানানো হয়েছে। দেশটির অন্তত ৯৫ শতাংশ মানুষ এ কর্মসূচির আওতায় রয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৩১ ডিসেম্বর চীনে প্রথমবারের মতো শনাক্ত হয় নভেল করোনাভাইরাস। পরে এটি ছড়িয়ে পড়ে সারাবিশ্বে। চীনে এপর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৮৫ হাজারের বেশি মানুষ। মারা গেছেন অন্তত সাড়ে চার হাজার। তবে সংক্রমণ ছড়ানোর কয়েক মাসের মধ্যেই সেটি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে চীন।