নিউজ বাংলা ডেস্ক: চীনের অর্থনীতির দুর্বল অবস্থার কারণে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান অ্যাপলের আয় কমে যেতে পারে, এমন হুশিয়ারি ঘোষণার পর বিনিয়োগকারীদের তোপের মুখে পড়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
বছরের এই সময়টা সাধারণত অ্যাপলের জন্য খুবই ‘পয়মন্ত’ সময়। কারণ ক্রিসমাস এবং নতুন বছর মিলে যে উৎসবের আবহ সেসময় বিক্রি বাড়ে প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন পণ্যের। কিন্তু বছরের শেষ তিন মাসের বিক্রি আশানুরূপ হয়নি, আর গত বছরের এই সময়ের তুলনায় সেটি পাঁচ শতাংশ কম।
২০১৬ সালের পর এই প্রথম অ্যাপলের বিক্রি এত কমে গেলো। স্বাভাবিকভাবেই ক্ষেপে গেছেন বিনিয়োগকারীরা।
কেন এই অবস্থা?
বুধবার বিনিয়োগকারীদের কাছে অ্যাপলের প্রধান নির্বাহী টিম কুক এক চিঠিতে জানিয়েছেন, বিক্রি কমেছে মূলত হংকং ও তাইওয়ানসহ বৃহত্তর চীন অঞ্চলে। অ্যাপলের মোট বিক্রির প্রায় ২০ শতাংশই হয় এ অঞ্চলে।
“আমরা যখন আমাদের আয়ের প্রাক্কলন করি, সেসময় আমরা কিছু অর্থনীতির ধীরগতিকে হিসেব করিনি, বিশেষ করে চীনের অর্থনীতি।”
অবশ্য তিনি চিঠিতে এ কথাও বলেছেন যে অনেক উন্নত দেশেও নতুন করে মন্দা দেখা দিয়েছে, ফলে অ্যাপলের নতুন ফোনের চাহিদা কমে গেছে।
অ্যাপলের অনিশ্চয়তা
গত ১৫ বছরের মধ্যে এই প্রথম, প্রতিষ্ঠানটির বিক্রির আগাম হিসেবে সংশোধন করতে হচ্ছে। আর দাম বেশি হবার কারণে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে অ্যাপলের নতুন ফোনের বিক্রিও আশানুরূপ হচ্ছে না।
নভেম্বরেই বিনিয়োগকারীদের জানানো হয়েছিল যে, ডলারের মূল্য বাড়ায়, এবং কিছু বৈদেশিক বাজারে অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাব বার্ষিক বিক্রিতে পড়বে।
আর বিশ্লেষকেরা জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের বিরোধের ফলেও চীন যদি মার্কিন ব্রান্ড বর্জন করতে চায়, তাহলেও ক্ষতিগ্রস্ত হবে অ্যাপল।
কী বলা হয়েছিল পূর্বাভাসে?
২৯ ডিসেম্বর অ্যাপল আকস্মিকভাবে ঘোষণা করে যে, আসছে তিন মাসে প্রতিষ্ঠানটির যে আয় প্রাক্কলন করা হয়েছিল, তা থেকে অন্তত পাঁচশো কোটি ডলার কম আয় হবে।
সেসময় বলা হয়েছিল, ডিসেম্বর পর্যন্ত অ্যাপল প্রায় নয় হাজার কোটি ডলার আয় করবে, কিন্তু বাস্তবে বিক্রি হয়েছে প্রায় সাড়ে আট হাজার কোটি ডলার।
এ ঘোষণার পর প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারের দাম সাত শতাংশ কমে গেছে। আর গত নভেম্বর থেকে অ্যাপলের শেয়ার ২৮ শতাংশের বেশি কমেছে। তবে এসব চ্যালেঞ্জ অ্যাপল শীঘ্রই কাটিয়ে উঠবে বলে আশা করে প্রতিষ্ঠানটি।
সূত্র: বিবিসি বাংলা