রাজধানীর টেকনিক্যাল মোড় অবরোধ করে রাখা পোশাকশ্রমিকদের সেখান থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। এর ফলে কল্যাণপুরের দিক থেকে গাবতলীমুখি যান চলাচল শুরু হয়েছে। তবে দুপুর ১টার দিকে এ প্রতিবেদন লেখার সময় টেকনিক্যাল মোড় থেকে মিরপুরের দিকে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
বেতন-ভাতার সমন্বয় ও কারখানায় দুই শ্রমিককে মারধরের অভিযোগ এনে শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এশিয়া সিনেমা হলের কাছে সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন ওই এলাকায় কয়েকটি কারখানার পোশাকশ্রমিক।
এতে ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। অবরোধ দুই ঘণ্টা হওয়ার পরও সেখানে মালিক সংগঠন, কিংবা পুলিশের দৃশ্যমান কোনো তৎপরতা ছিল না।
পরে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বাংলা কলেজ শাখা ছাত্রলীগের বেশ কয়েকজন নেতাকে সড়কে অবস্থান নিতে যায়। ছাত্রলীগের নেতারা পোশাকশ্রমিকদের মুখোমুখি হওয়ার পর ধাক্কাধাক্কিও হয় সেখানে।
পরে দুপুর ১টার দিকে টেকনিক্যাল মোড় থেকে সরে দাঁড়ান শ্রমিকরা। এতে ওই সড়কে যান চলাচল শুরু হয়।
এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, বাঙলা কলেজ শাখা ছাত্রলীগের স্থগিত কমিটির সহ-সভাপতি নাছির নঈম মুহিম, সাংগঠনিক সম্পাদক সাদ্দাম, সহ-সম্পাদক লাবু, সদস্য মানিক চৌধুরীসহ ছাত্রলীগের ৪০/৫০ জন সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
আশুলিয়াতেও বিক্ষোভ
ন্যূনতম মজুরির দাবিতে সাভারের আশুলিয়ায় বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ করেছেন শ্রমিকরা। এতে কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন। ভাঙচুর করা হয়েছে যাত্রীবাহী বাসসহ ১৫টি গাড়ি। শনিবার সকাল ৯টা থেকে আশুলিয়ার জামগড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল ৯টার দিকে জামগড়া এলাকায় শ্রমিকরা কাজে যোগ দেয়ার কিছুক্ষণ পর বের হয়ে সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। পরে তারা ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করার চেষ্টা করে। এ সময় বাধা দিলে পুলিশের সঙ্গে শ্রমিকদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ জলকামান থেকে গরম পানি এবং কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে।
ঢাকা-১ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের এসপি সানা সামিনুর রহমান বলেন, শ্রমিকরা রাস্তা অবরোধের চেষ্টা করলে তাদের বুঝিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা হয়েছে। শিল্পাঞ্চলের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি সদস্যরা মহাসড়কে টহল দিচ্ছে বলেও তিনি জানান।
জেইউ/এনএফ/এমকেএইচ