নিউজ বাংলা ডেস্ক: ”আমরা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছি”, বলেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম । শিক্ষার্থীরা আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে কোনটা সঠিক আর কোনটা সঠিক না। নিরাপদ সড়ক, নিরাপদ শহর বিনির্মাণে শিক্ষার্থীরাই পারবে জনসচেতনতা তৈরি করতে। গতকাল সকালে রাজধানীর আফতাবনগরের ইস্ট-ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযানের উদ্বোধন করে তিনি এসব কথা বলেন।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, আমরা সকলে যদি বিশ্বাস করি ‘আমিই বাংলাদেশ’ তাহলে সবাই নিজ-নিজ দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবো। ডিএনসিসির বিভিন্ন কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আপনার এগিয়ে আসলে আমাদের হাত আরো শক্তিশালী হবে। এসময় ইস্ট-ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে প্রধান সড়কে (প্রগতি সরণি) দ্রুততম সময়ের মধ্যে একটি ফুটওভারব্রিজ নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেন। এছাড়া ফুটওভারব্রিজ ব্যবহার করার জন্য সাধারণ মানুষকে সচেতনতা তৈরি করতে শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান। মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, কালশীর মোড় থেকে মিরপুরের দিকে যাওয়া রাস্তাটির অবস্থা অসহনীয়।
সেখানে যে খাল রয়েছে সেটিও ভরাট হয়ে গেছে। সাংবাদিক নামের এ খালটি ওয়াসার অধীনে। তিনি ওয়াসাকে খালটি পরিষ্কার করতে বলেছেন বলে জানান। যদি তারা ব্যবস্থা না নেয় তাহলে সিটি করপোরেশন তাদের যন্ত্রপাতি দিয়েই এটা দুই তিন মাসের মধ্যে পরিষ্কার করবে।
কালশী রোড থেকে বাউনিয়া বাজার রোডের কালভার্ট পর্যন্ত খাল বর্জ্য আর বালিতে ভরাট হয়ে গেছে। কিছু অংশ চলে গেছে অবৈধ দখলে। পানি বের হওয়ার পথ বন্ধ থাকায় প্রতি বর্ষা মৌসুমে এলাকায় মারাত্মক জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। এ কারণে ওই এলাকার কয়েক লাখ মানুষকে ভোগান্তিতে পোহাতে হয়। এছাড়া রামচন্দ্রপুর খালসহ আশপাশের কয়েকটি খাল ভরাট হয়ে যাওয়ায় মিরপুর এলাকায় জলাবদ্ধতা প্রকট আকার ধারণ করেছে।
এ সম্পর্কে মেয়র বলেন, জনগণ যেখানে কষ্ট পাবে, সেখানে কে কাজ করবে আর করবে না, সেটা পরে ভাবার বিষয়। বর্ষা চলে এসেছে। রাস্তা ডুবে যাচ্ছে, রিকশা, গাড়ি ডুবে যাচ্ছে, মানুষ চলাচল করতে পারছে না। জনগণকে কষ্ট থেকে মুক্তি দিতে অবিলম্বে সিটি করপোরেশন ব্যবস্থা নেবে বলে জানান।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য একেএম রহমতুল্লাহ, ইস্ট-ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক এম এম শহিদুল হাসান, ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী, প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ফরাস উদ্দিন প্রমূখ।