নিউজবাংলা ডেস্ক :

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের অপসারণের দাবিতে চলমান আন্দোলনে হামলার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানাসহ চারজন পদত্যাগ করেছেন।
সাধারণ সম্পাদক ছাড়াও পদত্যাগ করেছেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মনোয়ার হোসেন তুহিন, সদস্য অধ্যাপক মাহবুব কবির ও আরেক সদস্য অধ্যাপক সাঈদ ফেরদৌস।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তারা পদত্যাগ করেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে অধ্যাপক সোহেল রানা বলেন, যেহেতু শিক্ষক সমিতি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দাবি-দাওয়া পূরণে ব্যর্থ, তাই এখানে থাকা আমরা প্রয়োজন বলে মনে করছি না। তাই আমরা পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
অধ্যাপক সাঈদ ফেরদৌস বলেন, আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ছাত্রলীগের সহায়তায় হামলা চালিয়েছে। কিন্তু আমরা লক্ষ্য করেছি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি নির্লিপ্তভাবে উপাচার্যের পক্ষ অবলম্বন করে যাচ্ছে। এ অবস্থায় আমরা শিক্ষক সমিতি থেকে পদত্যাগ করছি।
এর আগে বেলা ১১টায় উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের অপসারণ দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায় শাখা ছাত্রলীগ। এরপর দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম বলেন, আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর কোনো হামলা হয়নি। ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা সুশৃঙ্খলভাবে আন্দোলনকারীদের আমার বাসভবনের সামনে থেকে সরিয়ে দিয়েছে।
হামলায় আটজন শিক্ষক, চারজন সাংবাদিক ও নারী শিক্ষার্থীসহ অন্তত ৩৫ জন আহত হয়েছেন। এসময় হামলাকারীরা সাংবাদিকদেরও লাঞ্ছিত করেন। আহত শিক্ষকরা হলেন নৃ-বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সাইদ ফেরদৌস, মীর্জা তাসলিমা সুলতানা, দর্শন বিভাগের অধ্যাপক রায়হান রাইন, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক খন্দকার হাসান মাহমুদ, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক শামীমা সুলতানাসহ আরও কয়েকজন।
উপাচার্যের অপসারণ দাবিতে সোমবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও করে রেখেছিলেন ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারে আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার বেলা ১১টায় উপাচার্য সমর্থক শিক্ষক-কর্মকর্তারা উপাচার্যকে বাসা থেকে বের করে তার কার্যালয়ে নিয়ে যেতে মৌন মিছিল নিয়ে উপাচার্যর বাসভবনে আসেন। এ সময় উপাচার্য সমর্থকদের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের উত্তপ্ত বাগবিতণ্ডা হয়।
এরপর শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. জুয়েল রানার নেতৃত্বে একটি মিছিল ঘটনাস্থলে এসে আন্দোলনকারীদের এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here