নিউজবাংলা ডেস্ক:
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেই হবে। খেতে হবে পুষ্টিকর খাবার। করোনা আবহে বার বার এমন কথাই বলছেন চিকিৎসকরা। এমন একটা খাবার বাড়িতে সহজেই রোজ খাওয়া যেতে পারে যা বানাতে ঝক্কিও নেই। খরচও একদমই কম। তা হল টমেটোর চাটনি। যা সাধারণত চাটনিতে দেওয়া হয় না। নুন ও চিনিও খুব কমই ব্যবহার করা হয়েছে। এতে উপকরণও লাগবে একদম সামান্য। বাড়বে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বা ইমিউনিটি।
টমেতোতে রয়েছে অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট। ফলে এগুলি মুক্ত মূলকের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এ ছাড়াও টমেটোতে ক্যালরির পরিমাণ বেশ কম। একটি মাঝারি আকারের টমেটোতে থাকে মাত্র ২৫ ক্যালরি। টমেটো ফাইবার সমৃদ্ধ একটি সব্জি। ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি-১২, ফোলেট, ক্রোমিয়াম এ সবই থাকে এতে। এই সবজিতে ক্যারটিনয়েড, লাইকোপেন এবং বিটা-ক্যারোটিন রয়েছে। এই ফাইটোনিউট্রিয়েন্টসগুলি ক্রনিক রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। এ ছাড়াও এতে রয়েছে পটাসিয়াম। তবে কিডনি বা ইউরিক অ্যাসিডের রোগী হলে চিকিৎসকদের পরামর্শ নিয়ে তবেই খান টোম্যাটো।
উপকরণ
টমেটো ১টি, রসুন ৫ কোয়া, কাঁচা মরিচ ১টি, হাফ চা চামচ সরিষার তেল, হাফ চা চামচ লবণ, হাফ চা চামচ চিনি
প্রণালী
টমেটো, রসুন আর কাঁচামরিচ রোস্ট করে নিতে হবে প্রথমে। অর্থাৎ তেল ছাড়াই কড়াইয়ে দিয়ে অল্প সেঁকে নিতে হবে। আঁচ নিভিয়ে তার মধ্যে সরিষার তেল, লবণ চিনি দিয়ে কড়াইয়ে হাতা চেপে চেপে নরম করে নিতে হবে। এই মিশ্রণটিকে এরপর শিলনোড়া বা মিক্সিতে বেটে নিন। তৈরি ইমিউনিটি বুস্টিং চাটনি। ভাত পাতের শেষে কিংবা রুটি-পরোটার সঙ্গী হিসাবে এই চাটনির জুড়ি মেলা ভার। চাইলে পাউরুটির উপর স্প্রেড হিসেবে ব্যবহার করে গোলমরিচ ছড়িয়ে সন্ধ্যার স্ন্যাক্স বা খাবারেও মন্দ লাগবে না।