নিউজবাংলা ডেস্ক:

অনিক ছাড়া গ্রেপ্তার হওয়া অপর চারজন হলেন শহিদুল ইসলাম, আবির আহমেদ, সোহাগ হোসেন ও হিরা। তাঁদের মধ্যে শহিদুলের নামে ছয়টি মামলা আছে। আবিরের নামে দুটি, সোহাগের নামে তিনটি এবং হিরার নামে দুটি মামলা আছে।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, টিকটক হৃদয়ের সহযোগী অনিক হাসান মগবাজারের হাতিরঝিল এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী। তিনি মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তাঁর নামে হত্যা, মাদক, অস্ত্র, ডাকাতিসহ ৯টি মামলা রয়েছে। তাঁর গ্রুপের সদস্যসংখ্যা ২০ থেকে ২৫ জন। কিশোর বয়স থেকে অনিক অপরাধ চক্রের সঙ্গে জড়িত। পরে ধীরে ধীরে এলাকায় সংঘবদ্ধ দল গড়ে তোলে। পাঁচ বছর আগে ২০১৬ সালে আরিফ হত্যা মামলার আসামি হিসেবে পরিচিতি পান।

র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, আসামি অনিক হাসানের সংঘবদ্ধ দলের সদস্যরা মগবাজার, মধুবাগ, মীরবাগ, নতুন রাস্তা পেয়ারাবাগ, চেয়ারম্যান গলি, আমবাগান ও হাতিরঝিল এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করে আসছিলেন। এই দলের সদস্যরা হাতিরঝিলে বেড়াতে আসা মানুষদের ভয়ভীতি দেখাতেন, ছিনতাই করতেন, এমনকি ওই এলাকায় মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করতেন। টিকটক হৃদয়ের কথামতো সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করতেন সন্ত্রাসী অনিক।

সম্প্রতি বাংলাদেশি তরুণীকে যৌন নির্যাতনের ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার পর ভারতে নারী পাচার হওয়ার বিষয়টি আলোচনায় আসে। আলোচনায় আসেন রিফাদুল ইসলাম ওরফে টিকটক হৃদয়। এ ঘটনায় বেঙ্গালুরু পুলিশ দুই নারীসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে। তাঁদের মধ্যে রিফাদুল ইসলাম হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয়ও আছেন।

তিনি মগবাজার এলাকার বাসিন্দা। নির্যাতনের শিকার তরুণীটিও ঢাকার এই এলাকার বাসিন্দা। রিফাদুলই তাঁকে মধ্যপ্রাচ্যে পাঠানোর কথা বলে বছরখানেক আগে ভারতে নিয়ে যান বলে তাঁর পরিবার অভিযোগ করেছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here