নিউজবাংলা ডেস্ক:

রাজধানীসহ সারাদেশে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়াধীন বিভিন্ন সরকারি হাসপাতাল ও টিকাদান কেন্দ্রে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন দেয়ার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

গত ২৭ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভার্চুয়ালি করোনার টিকাদান কর্মসূচি উদ্বোধনের পর থেকে সর্বশেষ বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত মোট টিকা নিয়েছেন ১৫ লাখ ৮৬ হাজার ৩৬৮ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ১০ লাখ ৬৮ হাজার ৭১৯ জন ও নারী ৫ লাখ ১৭ হাজার ৬৪৯জন।

টিকা নেয়ার পর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার শিকার হয়েছেন ৫১০ জন। তারা কি ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার সম্মুখীন হয়েছেন তা স্বাস্থ্য অধিদফতরের কর্মকর্তাদের কাছে জানিয়েছেন। তবে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কী ধরনের হয়, হতে পারে বা হচ্ছে, সাধারণ মানুষের তা জানার ব্যাপক আগ্রহ রয়েছে।

এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আলমগীর হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, সারাদেশে টিকাদান কার্যক্রম অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে এগিয়ে চলছে। করোনার টিকা নেয়ার পর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়েছে এ ধরনের লোকের সংখ্যা খুবই স্বল্প সংখ্যক।

যারা বিরূপ প্রতিক্রিয়া হয়েছে বলে রিপোর্ট করেছেন তাদের কী কী ধরনের সমস্যা তৈরি হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, টিকা দেয়ার পর কারও কারও ক্ষেত্রে টিকা দেয়ার স্থানটিতে ব্যথা হতে পারে। কারও কারও ক্ষেত্রে সেদিন বা পরদিন জ্বর আসতে পারে। আবার কারও কারও ক্ষেত্রে বমি বমি ভাব, দুর্বলতা অনুভব করা এমনকি মাথা ঘুরাতে পারে। তবে এ নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই। জ্বর এলে প্যারাসিটামল ট্যাবলেট খেয়ে নিলেই দু-একদিনের মধ্যে ভালো হয়ে যাবে।

তবে টিকা গ্রহণের পর থেকে বেশি বেশি করে পানি খাওয়ার পরামর্শ দেন এই রোগতত্ত্ব বিশেষজ্ঞ।

উল্লেখ্য, দেশের আটটি বিভাগে সর্বমোট ৫১০টি এইএফআই’র মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক এইএফআই’র রিপোর্ট করেছেন চট্টগ্রামে ১২৫ জন ও ঢাকায় ১২৪ জন। সর্বনিম্ন সংখ্যক এইএফআই রিপোর্ট করেছেন সিলেট ও বরিশালে ২৪ জন করে।

অন্যান্য চারটি বিভাগে এইএফআই’র সংখ্যা ময়মনসিংহে ৩৩ জন, রাজশাহীতে ৪৫ জন, রংপুরে ৫৯ জন এবং খুলনায় ৭৬ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় এইএফআই’র মোট সংখ্যা ২০ জন। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৪ জন, ময়মনসিংহে চারজন এবং খুলনা বিভাগে দুজন রয়েছেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here