নিউজবাংলা ডেস্ক

এপ্রিলের তৃতীয় সপ্তাহে শ্রীলঙ্কায় ২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ দল। তার আগে টানা ৪৫ দিনের নিউজিল্যান্ড সফর শেষ করে সেই মাসের প্রথম সপ্তাহে দেশে ফিরবে টাইগাররা। তাদের হাতে খুব বেশি দিন বিশ্রাম নেয়ার সময় থাকবে না। ছুটতে হবে লঙ্কায়, সেখানে ৭ দিনের কোয়ারেন্টিন করতে হবে। বিসিবির কয়েকটি সূত্রে জানা গেছে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাঠে নামার আগে নিজেকে মানসিকভাবে ফিট রাখতে নিউজিল্যান্ডে টি-টোয়েন্টি সিরিজে খেলবেন না তামিম ইকবাল। ওয়ানডে খেলেই দেশে ফিরে আসবেন তামিম। বিশ্রাম নিয়ে নিজেকে প্রস্তত করবেন টেস্ট সিরিজের জন্য। যদিও গতকাল ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে টি-টোয়েন্টি সিরিজ না খেলার কারণ ‘ব্যক্তিগত’ বলেই জানিয়েছেন তামিম।

তামিম বলেন, ‘আমি নিউজিল্যান্ডে আসার আগেই প্রধান  কোচ এবং নির্বাচকদের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। ব্যক্তিগত কারণে টি-টোয়েন্টি সিরিজে থাকবো না। দলকে শুভ কামনা জানাচ্ছি। আমি শুধু ওয়ানডে অধিনায়ক বলেই যে এই ফরম্যাটে ভালো করতে চাই, জিততে চাই এমন না।’

তামিমের টি-টোয়েন্টি সিরিজে খেলতে না চাওয়ার বিষয়ে মুখ খুলতে রাজি হয়নি টিম ম্যানেজম্যান্টের কেউই। তবে তার সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়েছেন নিউজিল্যান্ডে দলের সঙ্গে থাকা নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন। তিনি বলেন, ‘দেখেন তামিম কিন্তু নিজেই জানিয়েছেন যে কারণটা ব্যক্তিগত। সত্যি কথা বলতে এই ব্যক্তিগত শব্দটি নিয়ে গল্প খুঁজতে যাওয়া ঠিক নয়। কারণ, এখানে এমন কোন কিছুই নেই। তিনি আমাদের দেশের তিন ফরম্যাটের সেরা একজন ক্রিকেটার। তিনি হয়তো ভেবে চিন্তেই না খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।  আমি বা আমরা বরং তার সিদ্বান্তের প্রতি সম্মান জানাই।’  তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিসিবির একটি সূত্র জানায়, ‘নিউজিল্যান্ডে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন সহজ ছিল না। এরপর সেখানে টানা খেলা। সব মিলিয়ে যে কোনো ক্রিকেটারের জন্য বাড়তি চাপ। তিনি (তামিম) একটু বিশ্রাম নিয়ে পরিবারকে সময় দিয়ে টেস্ট খেলতে যেতে চান। দেখেন সেখানেও (শ্রীলঙ্কা) কিন্তু কোয়ারেন্টিন আছে।’

ডানেডিনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে সামনে রেখে তামিম বলেন, ‘নিউজিল্যান্ডে খেলাটা সবসময়ই আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং হয়। এখানে ভালো কিছু করার সুযোগ আছে। আমরা যদি সিরিজ জিততে পারি তাহলে সেটা অসাধারণ একটি অর্জন হবে। আমাদের মধ্যে সেই জিনিসটা রয়েছে যে আমাদের ভালো করতে হবে। আর সবচেয়ে যেটা গুরুত্বপূর্ণ যখন আমি প্রত্যেক প্লেয়ারের সঙ্গে কথা বলি আমি দেখি তারা খুব পজিটিভ। এটা খুবই ভালো। আমি যেটা বললাম এটা কাজ করতে পারে নাও পারে বাট আমি যা বলেছি এখন আমরা খুবই আত্মবিশ্বাসী।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here