নিউজবাংলা ডেস্ক:
সংবাদপত্রটি জানিয়েছে, ট্রাম্প ও তার কোম্পানিগুলোর দুই দশকেরও বেশি সময়ের আয়করের রেকর্ড তাদের হাতে এসেছে।
ট্রাম্প গত ১৫ বছরের মধ্যে ১০ বছর একেবারেই কোনো আয়কর দেননি। নিজের কোম্পানিগুলোর ক্রমাগত লোকসান দেখিয়ে বছরের পর বছর আয়কর এড়িয়েছেন তিনি।
ট্রাম্প যথারীতি নিউ ইয়র্ক টাইমসের এ প্রতিবেদনকেও ‘ভুয়া খবর’ আখ্যায়িত করে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
রোববার নিউ ইয়র্ক টাইমসের ওই প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, “আসলে আমি আয়কর দিই আর আমার আয়কর রিটার্ন- এখন তা অডিট করা হচ্ছে, সেগুলো দীর্ঘ দিন ধরেই অডিটের আওতায় রয়েছে- আসলেই আপনারা তা দেখতে পাবেন।
“(অভ্যন্তরীণ রাজস্ব পরিষেবা বা আইআরএস) আমার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করে না, তারা আমার সঙ্গে খুব খারাপ ব্যবহার করে। আইআরএসে আপনাদের লোক আছে- তারা আমার সঙ্গে খুব খারাপ ব্যবহার করে।”
অর্থবিত্ত ও ব্যবসা সংক্রান্ত নথি দেখাতে অস্বীকার করায় ট্রাম্প আগেও আইনি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছেন। ১৯৭০ এর দশকের পর থেকে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম প্রেসিডেন্ট যিনি আয়কর রিটার্ন জনসম্মুখে প্রকাশ করেননি, তবে এক্ষেত্রে আইনি কোনো বাধ্যবাধকতাও নেই।
প্রতিবেদনে যেসব তথ্য এসেছে তা ‘ওইসব তথ্য দেখার বৈধ অনুমোদন আছে এমন সূত্রগুলো দিয়েছে’ বলে জানিয়েছে নিউ ইয়র্ক টাইমস।
ডেমোক্র্যাট প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেন সঙ্গে ট্রাম্পের প্রথম প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্ক শুরু হওয়ার মাত্র কয়েকদিন আগে এবং যুক্তরাষ্ট্রের ৩ নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের কয়েক সপ্তাহ আগে এ প্রতিবেদনটি প্রকাশ পেল।