নিউজবাংলা ডেস্ক
ঢাকায় বায়ু দূষণ ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। দ্য ওয়ার্ল্ড এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স প্রজেক্ট (একিউআইসিএন) এর তথ্য অনুযায়ী, রোববার (২১ মার্চ) সকাল ১০টায় বায়ু দূষণের মাত্রা ছুঁয়েছে ৬৬১ পিএম২.৫। বায়ুর মান শূন্য থেকে ৫০ পিএম২.৫ থাকলে সেটাকে বিশুদ্ধ বায়ু বলা হয়, সেখানে ৬৬১ পিএম২.৫ হওয়াকে ভয়াবহ হিসেবে উল্লেখ করছেন বিশেষজ্ঞরা।
আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী, বায়ু দূষণের মাত্রা ৩০০ পেরোলেই যেকেউ অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি থাকে। এ অবস্থায় সবার বাইরে বের হওয়া নিষেধ। এ অবস্থায় স্বাস্থ্য সতর্কতা জারি করা প্রয়োজন।
এ মাত্রার বায়ু দূষণের বিষয়ে পরিবেশ অধিদফতরের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ও পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের (পবা) সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো. আবদুস সোবহান জাগো নিউজকে বলেন, ‘ভয়াবহ! ভয়াবহ! এই দূষণ মানুষকে তাৎক্ষণিক মেরে ফেলে না, ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে নিয়ে যায়।’
আবদুস সোবহান বলেন, ‘মেগা প্রকল্পগুলো চলছে প্রায় পুরো শহর নিয়ে। তাদের কাজ হচ্ছে প্রতিদিন সেখানে পানি দেয়া। কিন্তু কিছুই দিচ্ছে না। যারা দেখভাল করার দায়িত্বে তারা নিষ্ক্রিয়।’
বেশ কয়েক দিন ধরেই বায়ুর মান মারাত্মক অবনতি হলেও এখন পর্যন্ত পরিবেশ অধিদফতর এ সংক্রান্ত কোনো নির্দেশনা জারি করেনি। তাদের ওয়েবসাইটে গিয়েও এ সংক্রান্ত কোনো সাম্প্রতিক নির্দেশনা পাওয়া যায়নি।
এছাড়া পরিবেশ অধিদফতরের বায়ুমান শনাক্তের প্রক্রিয়া এনালগ। ফলে তারা রিয়েল টাইম বা তাৎক্ষণিক বায়ুর মান প্রকাশ করতে পারে না। তারা ২৪ ঘণ্টা পরপর বায়ুর মান প্রকাশ করে থাকে।
২০ মার্চের বায়ুর মান আজ ২১ মার্চ প্রকাশ করেছে পরিবেশ অধিদফতর। এতে দেশজুড়ে বায়ু দূষণের চিত্র উঠে এসেছে।
তাদের তথ্যানুযায়ী, শনিবার বায়ু দূষণ সবচেয়ে বেশি ছিল ময়মনসিংহে ৪৪৮ পিএম২.৫। এছাড়া ঢাকায় বায়ু দূষণের পরিমাণ ছিল ৪০৩, গাজীপুরে ৩৫৪, নারায়ণগঞ্জে ৪০২, চট্টগ্রামে ২১৫, সিলেটে ২৩৫, খুলনায় ২৫৬, রাজশাহীতে ৩২১, বরিশালে ২২০, রংপুরে ৪২৭ ও নরসিংদীতে ৩১১ পিএম২.৫।