নিউজ বাংলা প্রতিবেদন: 

রাজধানীর গুলশান, বনানী, ক্যান্টনমেন্ট ও ভাসানটেকের কিছু অংশ নিয়েই ঢাকা-১৭ আসন গঠিত। এই আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য (এমপি) বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের (বিএনএফ) সভাপতি আবুল কালাম আজাদ।এর আগে, গাজীপুর-৫ আসনের জন্য দলীয় মনোনয়নপত্র কিনেছিলেন চিত্রনায়ক ফারুক। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসন থেকে নৌকা প্রতীকে মুক্তিযোদ্ধা ও বরেণ্য চিত্রনায়ক আকবর হোসেন খান পাঠান ফারুক এবং ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করতে যাচ্ছেন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ।গত ২৫ নভেম্বর বিকেলে দলের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাক্ষর করা চূড়ান্ত মনোনয়নের চিঠি হাতে পান তিনি।

আকবর হোসেন খান পাঠান ফারুক


আকবর হোসেন খান পাঠান ফারুক (বামে)
আন্দালিব রহমান পার্থ (ডানে)

ঢাকা-১৭ সংসদীয় আসনটি রাজধানীর অভিজাত এলাকা হিসেবে পরিচিত। গুলশান, বনানী, ঢাকা সেনানিবাস ও ভাষানটেকের কিছু অংশ নিয়ে এই সংসদীয় আসন গঠিত। 

অভিনেতা ফারুক স্কুলজীবন থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। ১৯৬৬ সালে ছয়দফা আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত এই অভিনেতা।

ফারুক একজন অভিনেতা ছাড়া চিত্রপরিচালক এবং প্রযোজক হিসেবেও সুপরিচিত। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমার মধ্যে রয়েছে ‘সুজন সখী’, ‘নয়নমনি’, ‘সারেং বৌ’, ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, ‘সাহেব’, ‘লাঠিয়াল’, ‘দিন যায় কথা থাকে’ ইত্যাদি।

উল্লেখ্য, ঢাকা-১৭ আসন থেকে ২০০৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। ২০১৪ সালের নির্বাচনে এই আসনে সাংসদ হন বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের এস এম আবুল কালাম আজাদ।

আন্দালিব রহমান পার্থ

সাবেক সাংসদ আন্দালিব রহমান পার্থের বাবা মুক্তিযোদ্ধা নাজিউর রহমান মঞ্জু, যিনি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের দল জাতীয় পার্টি ছেড়ে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) প্রতিষ্ঠা করেন। পার্থের মা শেখ রেবা রহমান সম্পর্কে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিমের বোন ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাইঝি। বঙ্গবন্ধুর ভাতিজা শেখ হেলালের মেয়ে শেখ সায়রা রহমানকে বিয়ে করেন পার্থ। সবদিক থেকে পার্থ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছের আত্মীয়।

পার্থ বর্তমানে একজন আইনজীবী এবং ঢাকায় অবস্থিত ‘ব্রিটিশ স্কুল অব ল’ এর অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করছেন। ২০০০ সাল থেকে তিনি তার বাবার সঙ্গে রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে জড়িয়ে পড়েন। ২০০১ সালের সাধারণ নির্বাচনে ভোলা-১ আসনে চারদলীয় জোটের হয়ে নির্বাচন করে বিজয়ী হন।

২০০৪ সালের এপ্রিল মাসে নাজিউর রহমান মঞ্জুর মৃত্যু হলে বিজেপির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন পার্থ। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের সংসদীয় নির্বাচনেও ভোলা-১ আসন থেকে দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচিত হন তিনি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here