বিশেষ সংবাদদাতা:
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ওই হামলা করে।
রোববার দুপুর আড়াইটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) ভেতরে এ ঘটনা ঘটে। বিকেল ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের সামনে তাদের কর্মসূচি পালনের কথা ছিল।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, জিয়াউর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সোহানুর রহমান, জহুরুল হক হলের স্কুলছাত্র বিষয়ক সম্পাদক শহিদুল শানসহ ২০ থেকে ২৫ জন ছাত্রলীগ নেতাকর্মী তাদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় কোটা আন্দোলনকারীদের সাত থেকে নয়জন ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।
আন্দোলনকারীরা জানায়, কর্মসূচি পালনের আগে দুপুর আড়াইটার দিকে টিএসসিতে খেতে বসলে তাদের উপর ২০-২৫ জন ছাত্রলীগনেতা অতর্কিতভাবে হামলা করে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছিলেন কোটা সংস্কারের দাবিতে গড়ে ওঠা শিক্ষার্থীদের প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মোল্লা বিন ইয়ামিন, জসিম উদ্দিন আকাশ, সোহরাব হোসেনসহ আট-দশজন।
অন্যদিকে, ছাত্রলীগের সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলের নেতাকর্মী বলে অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগীরা।
জানা যায়, হামলাকারীরা মারধরের সময় টিএসসির গেট আটকে দেয়। তাদের মারধরে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী সোহরাব হাসানের নাক ফেটে রক্ত বের হয়। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এ ছাড়া জসিম উদ্দিন আকাশ, জালাল আহমেদসহ অন্য আহতরা ঢাকা মেডিকেল কলেজে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ফাহিম রহমান খান পাঠান বলেন, ‘আমরা আট-দশজন টিএসসি প্রাঙ্গণে আড্ডা শেষে টিএসসি ক্যাফেটেরিয়াতে খাবার নিয়ে খেতে বসি। তখন আমাদের উপর ছাত্রলীগের বিভিন্ন হলের পদধারী নেতাসহ প্রায় আশি-নব্বইজন নৃশংসভাবে হামলা করে। এতে গুরুতর আহত হন সোহরাব হোসেন, কবীর হোসেন, জসিম উদ্দিন। আমি, মোল্লা বিন ইয়ামিন, তারেক আহমেদ নাহিদসহ বেশ কয়েকজন আহত হই।’
তবে ছাত্রলীগের সম্পৃক্ততার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাস। তিনি বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না।’
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘আমি অবহিত হয়েছি। সঙ্গে সঙ্গে প্রক্টর টিমকে পাঠানো হয়েছিল। এ ঘটনায় কেউ যদি অভিযোগ করে তবে আমরা ঘটনার তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।’