নিউজবাংলা ডেস্ক:
ব্যক্তিগত অনুশীলন থেকে এখন দলীয়ভাবে অনুশীলন শুরু করেছে বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা। শ্রীলঙ্কা সফর হোক না হোক, ক্রিকেটাররা অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছে জোরে-সোরে। যদিও এখনও পর্যন্ত শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড থেকে সমস্যা সমাধানে কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। বাংলাদেশ দল আদৌ শ্রীলঙ্কা যেতে পারবে কি পারবে না- সেটা নিশ্চিত নয়।
যদিও বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানিয়ে দিয়েছেন, শ্রীলঙ্কা সফর না হলে ঘরোয়া ক্রিকেট শুরু করে দেবেন তারা। সে লক্ষ্য সামনে রেখে হলেও নিবিড় অনুশীলনে নিজেদের ব্যস্ত রাখছেন বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা।
পরিস্থিতি যাই হোক, একসঙ্গে অনুশীলন করতে গিয়ে তাসকিন আহমেদের কাছে মনে হচ্ছে, তারা একটি পরিবারের মত। একসঙ্গে এক পরিবারের মত ক্রিকেটীয় কর্মকাণ্ড শুরু করতে পেরে দারুণ ভালো লাগছে তাসকিনদের।
দীর্ঘদিন পর অনুশীলন শুরুর করার অনুভূতি বর্ণনা করতে গিয়ে তাসকিন বলেন, ‘আসলে খুব ভালো লাগছে, আলহামদুলিল্লাহ। অনেক দিন পর একত্রিত হয়ে ট্রেনিং করেছি। অনেক দিন পর হাই-ইন্টেন্সিতে ট্রেনিং এবং এক সাথে ড্রেসিং রুম শেয়ার, টিম বাস শেয়ার; সবাই একত্রে ফ্যামিলির মতো শুরু করতে পেরে ভালো লাগছে।’
পেস বোলিং কোচ ওটিস গিবসন। তার কাছ থেকে কি কি নতুন শিখছেন, কিংবা অনেকদিন পর অনুশীলন করতে এসে নিজেদের মধ্যে পরিবর্তনটা কি দেখতে পাচ্ছেন তাসকিন আহমেদ? জবাবে তিনি বলেন, ‘মাশাআল্লাহ আগের থেকে ভালো রিদম আসছে এবং ভালো লাগছে, কমফোর্টেবেল। পেস এবং সিম পজিশন – এসব নিয়েই কাজ করছি কোচদের সাথে। মাশাআল্লাহ আগের থেকে ইমপ্রুভ হয়েছে। ইনশাআল্লাহ, আল্লাহ যদি সুস্থ রাখেন আরও ভালো হবে। অ্যাকুরেসি, পেস, সিম পজিশন – এগুলো আরও ভালো হবে আশা করছি।’
তবে, এটুকুতেই সন্তুষ্ট নন তাসকিন। তার আশা আরও ভালো করা। বিশ্বমানের হতে হলে আরও ভালো করা প্রয়োজন। এ বিষয়টাই তিনি জানিয়ে গেলেন এক প্রশ্নের জবাবে। তাসকিন বলেন, ‘আগের থেকে ইম্প্রুভ হয়েছে, মাশাআল্লাহ। তবে ইম্প্রুভমেন্টের শেষ নেই। ওয়ার্ল্ড ক্লাস লেভেলের হতে গেলে আরও হার্ড ওয়ার্ক করে যেতে হবে। এখানেই তো সব শেষ নয়! সামনে আরও ভালো কিছু হবে আশা করছি। আমি চেষ্টা করছি আমার ধারাবাহিকতা ধরে রাখার এবং ভবিষ্যতে আরও ইম্প্রুভ করার। আরও ভালো করতে পারি যেন -এ চেষ্টায় করবো।’