নিউজ বাংলা ডেস্কঃ 

টানা বর্ষণ ও অব্যাহত পাহাড়ি ঢলে সিলেট-সুনামগঞ্জে হু হু করে বাড়ছে বন্যার পানি। তলিয়ে যাচ্ছে একের পর এক এলাকা। কারো ঘরে কোমর পানি আবার কারো ঘরে বুক পানি। ইতোমধ্যে সিলেট নগরীসহ অনেক উপজেলা পানিতে পুরোপুরি প্লাবিত। পানি বাড়তে থাকায় নতুন নতুন এলাকা তলিয়ে যাচ্ছে।

সিলেট শহরের ৭০ ভাগ এলাকা বিদ্যুৎহীন। বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন গোটা সুনামগঞ্জ জেলা। আতঙ্ক বাড়ছে বানভাসি মানুষের মধ্যে। বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে দুটি জেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা। অমানবিক পরিবেশ তৈরি হয়েছে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে।

শনিবার সকালে সিলেটের কোম্পানিগঞ্জ, জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট, কানাইঘাট, সদর উপজেলাসহ আরো অনেক জায়গায় পানি বৃদ্ধির খবর পাওয়া গেছে। সীমাহীন দুর্ভোগে থাকা মানুষের পাশাপাশি কষ্ট বেড়েছে গৃহপালিত গবাদি পশুরও। যে যেভাবে পারছেন গরু-ছাগলগুলোকে উঁচু জায়গায় নেয়ার চেষ্টা করছেন।

এদিকে শুক্রবার থেকে সিলেটের বিভিন্ন উপজেলায় সেনাবাহিনীর সদস্যরা উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেছেন। সেনাবাহিনীর পাশাপাশি আজ থেকে নৌবাহিনীর সদস্যরাও উদ্ধার তৎপরতায় যুক্ত হয়েছেন বলে সিলেটের জেলা প্রশাসক মোঃ মজিবর রহমান নিশ্চিত করেছেন।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, নৌবাহিনীর ৩৫ জনের একটি ডুবুরিদল কাজ শুরু করেছে। বিকেলে ৬০ জনের আরেকটি দল সিলেটে আসবে। কোস্ট গার্ডের দুটি ক্রুজ দুপুরের পর আসবে। একটি সুনামগঞ্জ যাবে ও একটি সিলেটে উদ্ধারকাজে নিয়োজিত হবে। এ ছাড়া বিমানবাহিনীর দুটি হেলিকপ্টার উদ্ধার কাজে নিয়োজিত থাকবে। সেনাবাহিনীর সদস্যরা ‘রেসকিউ বোট’ দিয়ে গ্রামে গ্রামে পানিবন্দী মানুষকে উদ্ধার করে নিয়ে আসছে।জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, নৌবাহিনীর একটি দল সিলেট সদর উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নে কাজ করছে ও আরেকটি দল কোম্পানীগঞ্জের দিকে রয়েছে। এছাড়াও সেনাবাহিনী আজ সিলেট সদর, কোম্পানীগঞ্জ এ গোয়াইনঘাটে উদ্ধার কাজে নিয়োজিত রয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here