নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের সন্ত্রাসী হামলায় নিহত দুই বাংলাদেশির পরিচয় পাওয়া গেছে। তবে নিখোঁজ দুজন ও আহত দুজনের পরিচয় জানা যায়নি।
সিডনি থেকে কাউসার খান স্থানীয় সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে ওই দুই বাংলাদেশি ব্যক্তির পরিচয়ের বিষয়টি জনান। তাঁকে নিহত দুই বাংলাদেশির প্রাথমিক পরিচয় জানান ড. মেসবাহ চৌধুরী। ড. মেসবাহ ক্রাইস্টচার্চের ক্যান্টারবেরি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। ঘটনার সময় তিনি ঘটনাস্থল সংলগ্ন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থান করছিলেন। তিনি বলেন, ‘ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শীদের মাধ্যমে জানতে পেরেছি, নিহত বাংলাদেশি দজুনের একজন ডা. সামাদ আজাদ। নিহত আরেকজনের নাম হোসনা। তাঁর স্বামীর নাম ফরিদ। নিহত দুজনই ক্রাইস্টচার্চে বহু বছর ধরে বাস করছেন।’ তিনি বলেন, ‘ঘটনার পর থেকেই আরও কয়েকজন বাংলাদেশি নিখোঁজ বলেও শোনা গেছে। তবে তাঁদের পরিচয় প্রকাশ পায়নি।’
ঘটনার আকস্মিকতায় গোটা ক্রাইস্টচার্চ এলাকার পরিবেশ পাল্টে গেছে বলে জানান ক্যান্টারবেরি বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি অধ্যয়নরত মৃন্ময় মৈত্র। পাঁচ বছর ধরে তিনি ওই এলাকায় বাস করছিলেন। তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় সবকিছু বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। ঘটনা শুনে আমি নেমে আসছিলাম। এমন সময়ই চারদিক থেকে শুধু পুলিশের গাড়ির সাইরেন কানে আসতে থাকে। মাথার ওপর দিয়ে একটার পর একটা হেলিকপ্টার উড়তে শুরু করে। আল নুর মসজিদের আশপাশের এলাকা এমনিতে খুবই নিরিবিলি। তবে আজকে পুরো চেহারাই পাল্টে গেছে। রাস্তায় রাস্তায় পুলিশ লোকজনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে দেয়। আর সন্ত্রাসী হামলার কথা মুহূর্তেই সবার মুখে মুখে ছড়িয়ে পরে। সবাই খুবই আতঙ্কিত হয়ে ছোটাছুটি শুরু করে।’
আজস্থানীয় সময় বেলা দেড়টার দিকে মসজিদে নামাজ শুরুর ১০ মিনিটের মধ্যে একজন বন্দুকধারী সিজদায় থাকা মুসল্লিদের ওপর গুলি ছোড়ে। হামলাকারীর হাতে স্বয়ংক্রিয় রাইফেল ছিল। হামলা চালিয়ে বন্দুকধারী জানালার কাচ ভেঙে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪০ জন নিহত হয়েছে বলে নিউজিল্যান্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়। গুরুতর আহত ২০ জন।