ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পথ যতো অন্ধকারই হোক, দেশকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে চেষ্টা অব্যাহত রাখবো। সশস্ত্র বাহিনীকে শক্তিশালী করে গড়ে তোলা হচ্ছে, আমরা কারো সঙ্গে যুদ্ধ চাই না। কিন্তু, কেউ আক্রমণ করলে ছেড়ে দেয়া হবে না।

বুধবার বিকেলে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে সেনাকুঞ্জে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসন কথা বলেন।

শেখ হাসিনা আরো বলেন, অনেক উন্নত দেশ যেখানে শরণার্থীদের সহায়তা করতে হিমশিম খায়। সেখানে আমরা সকলের সহায়তায় অত্যন্ত দক্ষতার সাথে দশ লাখ রোহিঙ্গাদের সহায়তা করেছি, আশ্রয় দিয়েছি।

সরকার প্রধান বলেন, ‘২০০৮ সালে ক্ষমতায় আসার পর প্রথমবার এবং পরবর্তীবার সরকার গঠন করার পর সরকারি চাকরিজীবীদের কয়েকগুণ বেতন বাড়িয়েছি। বেসরকারি খাতে টেলিভিশন করে দিয়েছি আমরাই। বেসরকারি খাতকে উন্মুক্ত করে দিয়েছি। প্রতিটি এলাকায় উন্নয়নের জন্য নানা ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের চলার পথ কণ্টকাকীর্ণ। আমাদের সামনে আরো যাত্রার পথ বাকি রয়েছে। আমরা ৭.৮৬ ভাগ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছি।

বাংলাদেশ আজ বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোল মডেল। উন্নয়নের এই ধারা অব্যহত রাখতে হবে। উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অখুন্ন রাখতে হবে, জনগণ সুযোগ দিলে দেশের সেবা করে যাওয়ার অঙ্গীকার করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগন যদি চায় আবার ক্ষমতায় এসে তাদের সেবা করবো। আর যদি জনগণ ভোট না দিলেও কোনো কষ্ট নাই। কারণ দেশে যে উন্নয়ন ঘটেছে সে ধারা অব্যাহত থাকবে। আগামীতে ক্ষমতায় আসতে পারলে বাংলাদেশকে দারিদ্র্যমুক্ত, ক্ষুধামুক্ত করে গড়ে তুলবো। আগামী ভবিষৎ হবে উন্নত, সমৃদ্ধ।

এ সময় কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের বিখ্যাত সেই কবিতার কয়েকটি চরণ ‘চলে যাব–তবু আজ যতক্ষণ দেহে আছে প্রাণ/ প্রাণপণে পৃথিবীর সরাব জঞ্জাল/ এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি/ নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার’ আবৃত্তি করেন।

উপস্থিত ছিলেন নিরাপত্তা সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ, নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল নিজামউদ্দিন আহমেদ, বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাসহ সশস্ত্র বাহিনীর পরিবারের অন্যান্য সদস্যগণ, ঐক্যফ্রন্টের নেতা ড. কামাল হোসেন, যুক্তফ্রন্টের নেতা বি. চৌধুরী, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোঃ নাসিম, সমাজকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদসহ মন্ত্রীপরিষদের অন্যান্য সদস্যগণ, প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ নির্বাচন কমিশনের অন্যান্য সদস্যগণ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here