ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখাই তার সরকারের একমাত্র লক্ষ্য। এই অগ্রযাত্রা কেউ বন্ধ করতে পারবে না। সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে ঢাকা সেনানিবাসে খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ সব কথা বলেন তিনি। এ সময় মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সব সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালে ২১শে নভেম্বর সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী সম্মিলিতভাবে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে আক্রমণ করে। স্বাধীনতার পর থেকে এই দিনটি সশস্ত্র বাহিনী দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।
দিবসটির শুরুতেই স্বাধীনতা সংগ্রামে প্রাণ উৎসর্গকারী সশস্ত্র বাহিনীর শহীদ সদস্যদের সÍণে ঢাকা সেনানিবাসে শিখা অনির্বাণে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পরে সেনানিবাসের মাল্টিপারপাস হলে খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, একসময় মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে। নির্বাসিত জীবন থেকে ১৯৮১ সালে দেশে ফেরার পর থেকে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরতে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।
মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার ঘোষণা দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার সুফল মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দেবে তার সরকার। ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত সমৃদ্ধ বাংলাদেশে উদযাপন করা হবে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী।
শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারের ঘোষণা দিয়েছিলাম দিন বদলের সনদ। আপনারাই বিবেচনা করে দেখবেন। সেই দিন বদল আমরা করতে পেরে ছিলাম কিনা। আমি দাবি করবো, আমি অবশ্যই দিন বদল করেছি। তবে, আমাদের অনেক দূর যেতে হবে, অনেক উন্নয়ন করতে হবে। যেদেশে ৪০ ভাগ দারিদ্র্য ছিল, সেটা আমরা ২১ ভাগে নিয়ে আসছি। আমাদের লক্ষ্য আরও পাঁচভাগ এই দারিদ্র্যের হার আমরা কমাবো। বাংলাদেশ হবে দারিদ্র্যমুক্ত দেশ।
তিনি বলেন, যে দেশকে জাতির পিতা স্বল্প সময়ের মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে স্বীকৃতি আদায় করেছিল। মাত্র অল্প সময়ের মধ্যে। আজকে সেই বাংলাদেশ জাতিসংঘ কর্তৃক উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এই স্বাধীনতা, বাংলাদেশ স্বাধীন দেশ। কখনো ব্যর্থ হতে পারে না। স্বাধীনতা মানুষের সুফল আমরা প্রত্যেকটা মানুষের কাছে পৌঁছে দিবো। এদেশের মানুষ দারিদ্র্যের কষাঘাতে জর্জিত হবে না। অন্নের জন্য হাহাকার করবে না। বিনা চিকিৎসায় মারা যাবে না। প্রত্যেকের জীবন সুন্দর হবে। যেটা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন।
অনুষ্ঠানে সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর ১৩ জন কর্মকর্তাকে শান্তিকালীন পদক প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।