নিউজ বাংলা ডেস্ক:  ই-কমার্স খাতে দেশের সর্ববৃহৎ সর্টিং সেন্টার চালু করেছে অনলাইন শপিং প্ল্যাটর্ফম দারাজ। প্রায় ৪৬ হাজার ৪২১ বর্গ ফুট জায়গার ওপর দারাজের এ সর্টিং সেন্টার গড়ে তোলা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে অবস্থিত সর্টিং সেন্টারের উদ্বোধন করেন তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। উদ্বোধনকালে উপস্থিত ছিলেন দারাজ  গ্রুপের দুই প্রধান নির্বাহী অফিসার বিয়ারকে মিক্কেলসেন এবং জোনাথন ডোয়ার। এছাড়া দারাজ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মোস্তাহিদল হকসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোস্তাফা জব্বার বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি খাতে আমার বয়স প্রায় ৩২ বছর। এর সুবাদে এ সময়ে তথ্যপ্রযুক্তিতে যেসব মাইলফলক অর্জিত হয়েছে তার সবকিছু আমার দেখা হয়েছে। দারাজের এতো বড় শপিং সেন্টার চালু করা তেমনি একটি মাইলফলক।

ই-কমার্স খাতে দেশের সাফল্যের কথা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, একটা সময় আসবে যখন আর মানুষ দোকানে গিয়ে শপিং করবে না। দারাজের ওয়্যার হাউস যতো বড়, অনেক বড় প্রতিষ্ঠান তাদের শোরুম এতো বড় করার চিন্তাও করে না।
এর কারণ হচ্ছে পণ্য এখন শোরুম থেকে ইন্টারনেটে উঠে গেছে। খুব দ্রুত এ বিপ্লব সাধিত হয়েছে। এখন প্রতিদিন হাতের মোবাইল ফোন দিয়ে এক হাজার ২৪ কোটি টাকার লেনদেন হয়। চেক বই, ক্যাশ কাউন্টার এগুলো এক সময় মানুষ জাদুঘরে দেখতে যাবে।

অনুষ্ঠানে দারাজের এমডি সৈয়দ মোস্তাহিদল হক বলেন, আমরা দেশের সর্ববৃহৎ সর্টিং সেন্টারটি সফলভাবে উদ্বোধন করতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত আর এটি অনেকটাই সম্ভব হয়েছে কাস্টমারদের দারাজের প্রতি অগাধ ভালোবাসা ও বিশ্বাস রাখার কারণে। আশা করছি দেশের সব মানুষের ভালোবাসায় আমরা ভবিষ্যতে আরও অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারবো ও দারাজের আরও অনেক বড় প্রকল্প বাস্তবায়নে সক্ষম হব।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ২০১৪ সালে দারাজ বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করার পর বৃহত্তম ই-কমার্স ওয়্যারহাউস ও সর্টিং সেন্টারের পাশাপাশি ৫০০টি ফ্লিট, ৪০ লাখেরও বেশি পণ্য ও দেশের ৩২টি জেলায় ৩৮টি ডেলিভারি হাব চালু করে দারাজ। এ সর্টিং সেন্টারের ফলে গ্রাহকদের পণ্য সরবরাহ প্রক্রিয়া আরও সহজ ও দ্রুত হবে বলে আশাবাদ প্রতিষ্ঠানটির।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here